চট্টগ্রামে চলছে মাইকিং, খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র

    0
    110

    চৌধুরী এমরান :: শ্রাবণের শুরুতেই ভারী বৃষ্টির পর চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো থেকে বসবাসকারীদের সরাতে মাইকিং শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। গত বছর ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ১৭ পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে মঙ্গলবার দিনভর মাইকিং করা হয়।

    উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে শনিবার গভীর রাত থেকেই চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়।

    এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চলতি বছর চট্টগ্রাম নগরী ও সংলগ্ন এলাকার পাহাড়গুলো থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমে ধীরগতি ছিল। তবে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন পাহাড় কেটে গড়ে ওঠা চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ভারী বৃষ্টির পর উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন।

    আজ ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নিতে নগরীর চাঁন্দগাও, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ এবং কাট্টলী ভূমি সার্কেলের অধীনে বিভিন্ন এলাকায় মোট ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা বিবেচনায় রেখে এবার আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। ভূমি অফিসের কর্মচারী, কাউন্সিলরদের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নগরের ১৭ টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে লোকজনকে অপসারণ করা হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজন সরে গিয়ে তাদের নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনের বাসায় নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছেন।