সম্প্রতি হেফাজতসহ বিভিন্ন সহিংসতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যারা উস্কানি দিয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এমন একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রধানদের।মোদিবিরোধী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে সম্প্রতি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সহিংসতার ডাক দেয়াসহ জ্বালাও-পোড়াওয়ের ছবি ভাইরাল করা হয়েছে। যার ফলে ছড়িয়েছে সহিংসতা, উস্কানি। হেফাজতে ইসলামের বিতর্কিত নেতারাও এটিকে মূল অস্ত্র হিসেবে দেখছেন। অনিয়ন্ত্রিত এ মাধ্যমের লাগাম টানতে চলতি সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।সূত্র জানায়, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রধান ও সব সংস্থা প্রধানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিদাতাদের আইনের আওতায় আনার। এ বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও সব সংস্থা তৎপর এখন মাঠ পর্যায়ে।ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। সহিংসতা ও উস্কানি ছড়ানো ফেসবুক আইডি এবং পেজগুলোকে শনাক্ত করে মামলা করা হবে।’ফেসবুকে ছবি দেখে এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সহিংসতার সময় সোশ্যাল মিডিয়ার গতি কমিয়ে দেয়া হলেও ভিপিএনসহ বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করেছে দুর্বৃত্তরা। ভোগান্তিতে ছিলেন সাধারণ মানুষ। তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের দেশের জন্য জরুরি প্রয়োজন হচ্ছে ‘কন্টেন্ট পাবলিশিং পলিসি’। যেটা তথ্য প্রযুক্তি আইন দিয়ে হবে না। এটা কোর্ট থেকে অনুমোদিত একটি আইন। সেই আইন অনুযায়ী কী ধরনের কন্টেন্ট ডিজিটাল মিডিয়াতে পাবলিশড হবে এবং ডিজিটাল মিডিয়াগুলোর দায়বদ্ধতাসহ একটা আইন তৈরি করতে হবে।’স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে এনআইডি দিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য ফেসবুককে একাধিকবার প্রস্তাব দেয়া হলেও সাড়া দেননি তারা। শিগগিরই তাদের সঙ্গে আবার বৈঠকের উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ।