সরকারি খাদ্য গুদামে গত বছরের চেয়ে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮২০ টন খাদ্যশস্য কম মজুত রয়েছে। গত বছরের ৫ নভেম্বর খাদ্যশস্যের মোট মজুত ছিল ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪০ টন। চলতি বছর একই সময়ে এই মজুত ১০ লাখ ৩ হাজার ২০ টন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের (এফপিএমইউ) দৈনিক খাদ্য পরিস্থিতির সার-সংক্ষেপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত বছরের মজুতের মধ্যে চাল ছিল ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩০ টন এবং গম ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১১০ টন। বর্তমান মজুতের মধ্যে চাল ৭ লাখ ২৪ হাজার ৯২০ টন এবং গম ২ লাখ ৭৮ হাজার ১০০ টন।
উল্লেখ্য, সরকারি মজুত থেকে সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এছাড়া ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে চাল বিক্রির মাধ্যমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাও করে থাকে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন সংগ্রহ কর্মসূচি শুরুর আগে মজুতের পরিমাণ কমই থাকে। ইতোমধ্যে আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সাড়ে ৮ লাখ টন ধান-চাল কেনার কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। এতে মজুত আবার বাড়তির দিকে যাবে।
গত ২৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান কিনবে। এছাড়া ৩৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ লক্ষ্যে ৭ নভেম্বর থেকে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ১৫ নভেম্বর থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হবে। পরের বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে।