সরকারি নির্দেশনার পরও বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল, জানেন না প্রতিমন্ত্রী

0
177

করোনাভাইরাসের কারণে বিলম্ব মাশুল ছাড়াই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও আদায় করা হচ্ছে মাশুল। সঙ্গে লাগামছাড়া ভুতুড়ে বিলের বোঝা। বিতরণ সংস্থা ডিপিডিসি বলছে, জরিমানার টাকা পরে সমন্বয় করা হবে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মেনে জরিমানা নিলেও, এই ব্যাপারে এখনো ধোঁয়াশায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। একদিকে কোভিড নাইনটিনের প্রাদুর্ভাব, অন্যদিকে অর্থনৈতিক স্থবিরতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাসের আবাসিক গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল নেয়া বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সরকার।চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত মওকুফ করা হয় সারচার্জ। এমন মানবিক ঘোষণার বিপরীতে বকেয়া মাসের বিল ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি আসার পাশাপাশি এখনই আদায় করা হচ্ছে জরিমানা।রাজধানীতে বিতরণকারী দুই সংস্থার মধ্যে ডিপিডিসির গ্রাহকদের অভিযোগ বেশি। কেন দায়ের করা হচ্ছে, জরিমানা, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, কোথাও জরিমানা আদায় করা হলে সেটা সমন্বয় করা হবে।ডিপিডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, জরিমানা যদি করেও থাকে তবে সেটা আমরা সমন্বয় করব। এমনটা হওয়ার কথা না।অপরদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, বিতরণ সংস্থাগুলোকে বাড়তি বিলের ব্যাপারে এর আগে সতর্ক করা হলেও জরিমানা আদায়ের ব্যাপারে এখনো মন্ত্রণালয়কে কিছুই জানায়নি সংস্থাগুলো।বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়েরে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি। মন্ত্রণালয়কে জানালে তো আমি জানতাম।জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ি না গিয়ে বিল করার ক্ষমতা বিতরণ সংস্থাগুলোর নেই। বিইআরসির বেঁধে দেয়া নিয়মের বাইরে এ ধরণের বিল করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।