চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় পুত্রবধূর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোকেয়া বেগম (৫৪) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গত ২১ জুন সন্ধ্যায় উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের মৈশামুড়া এলাকার নিজ বাড়িতে পুত্রবধূ নাছমিন আক্তারের ছুরিকাঘাতে আহত হন রোকেয়া বেগম। ঘটনার পরপরই নাছমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে রোকেয়া বেগমের ছেলে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হয় নাছমিনের। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্যের জেরে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। গত সোমবার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে এসে সন্ধ্যায় তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে শাশুড়িকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন তিনি।
শাশুড়িকে মৃত ভেবে পালানোর সময় তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। রোকেয়া বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে একই দিন রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে বুধবার তাকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জাকারিয়া রহমান জিকু জাগো নিউজকে বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় খাগরিয়া ইউনিয়ন এলাকায় পুত্রবধূর ছুরিকাঘাতে আহত নারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পরদিন (মঙ্গলবার) আদালতে পাঠিয়েছে। তাকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদনও করা হয়েছে। নাছমিনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।