লম্বা লাইনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে টিকা নেয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো গণটিকাদানের প্রথম দিন। যারা সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করেননি তারাই মূলত জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকা নিয়েছেন। ওয়ার্ডভিত্তিক প্রায় সব কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তাই শারীরিক দুরত্ব, স্যানিটাইজেশনের নির্দেশনা মানা যায়নি গণটিকাদান কেন্দ্রে। এর পাশাপাশি চলেছে নিয়মিত টিকা কার্যক্রমও।কোন ত্রাণ কার্যক্রম, নির্বাচন বা স্টেডিয়ামের দর্শকের ভিড় নয়। রাজধানীর কল্যাণপুরে একটি টিকাদান কেন্দ্রে সকাল এগারোটার চিত্র। সবার করোনা টিকা দরকার।
বছরের শুরুর দিকে টিকার অপর্যাপ্ততা ছিল, সেই সাথে ছিল মানুষের দ্বিধাও। কিন্তু টিকা ক্যাম্পেইনের প্রথম দিন রাজধানীসহ সারা দেশের কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় দেখে বোঝা যায়, কতটা কেটেছে তাদের দ্বিধা। ওয়ার্ডভিত্তিক কেন্দ্রে, সকাল নয়টার আগেই নিবন্ধিত-অনিবন্ধিতরা লাইনে দাঁড়ান। তবে যারা সুরক্ষায় নিবন্ধন করেননি তাদেরই টিকা হয়েছে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এমন গাদাগাদিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে রাজধানীর বনানীতে একটি টিকাকেন্দ্রে একজন খালি পেটে টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। নাগরিকদের এমনটি না করার আহ্বান জানান, ঢাকা উত্তরের মেয়র।
প্রতিটি ওয়ার্ডের কেন্দ্র থেকে ৩শ’ টিকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে আগ্রহীর সংখ্যা বেশি থাকায়; অনেককেই ফেরত আসতে হয়েছে, টিকা নেয়া ছাড়া। তাই বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান তারা।
সিটি করপোরেশন এলাকায় দেয়া হয়েছে মডার্নার টিকা। আর উপজেলায় সিনোফার্মের। বিশেষ এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, বিভিন্ন ধাপে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দিতে চায় সরকার। প্রথম দিনে সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েই মিলেছে, টিকা।গণটিকা কার্যক্রমে এখন যারা প্রথম ডোজ পাচ্ছেন এমন ক্যাম্পেইন করে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ারও পরিকল্পনা আছে সরকারের।