মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সালিশ বৈঠকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। বুধবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উত্তর ইসলামপুর এলাকার কাশেম পাঠানের ছেলে মো. ইমন হোসেন (২২) ও একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. সাকিব হোসেন (১৯)।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন মো. মিন্টু (৪৭) ও আওলাদ হোসেন (৪০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, প্রথমে ইভটিজিংয়ের একটি ঘটনা নিয়ে রাত ১০টার দিকে বিচার সালিশ শুরু হয়। তবে তা মিথ্যা প্রমাণিত হলে স্থানীয় কিশোর সৌরভ ও ইমনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এমতাবস্থায় সৌরভ গ্রুপ ও ইমন গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সেই মারামারি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই ইমন পাঠান নিহত হন। ঢাকায় নেয়ার পথে সাকিব মারা যান।
এ ঘটনায় বিচারকসহ গুরুতর আহত হন অন্তত ৫ জন। যাদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে এক তরুণ মৃত ছিলো। অপর কয়েকজন গুরুতর আহত ছিলেন। গুরুতর কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কী নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার না।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম এখন বলা যাবে না বলেও জানান তিনি।