৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বুধবার (২৭ মে) রাত আটটার দিকে তিনি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান
প্রতিমন্ত্রী জানান, সীমিত যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। নৌপরিবহন, ট্রেনও চলবে বলে তিনি জানান।এর আগে বিকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান ৩১ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। এসময় ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করবে বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ছুটি না বাড়লেও চলবে না গণপরিবহণ, রেল ও যাত্রীবাহী নৌযান। তবে বেসরকারি বিমানগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচল শুরু করতে পারবে।তিনি আরো জানান, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন কিছুক্ষণ আগে পেয়েছি। দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে বেশ কয়েকদফা সরকারি ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হলেও এবার ৩০ মে’র পর আর ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হবে না। তবে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে কাজ করতে হবে। বয়স্ক এবং গর্ভবতীরা অফিসে আসবেন না। আপাতত ১৫ জুন পর্যন্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে ক্লাস নেয়া যাবে।তিনি আরও বলেন, ৩১ মে থেকে সরকারি আধা-সরকারি সব অফিস খুলবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখতে সীমিত পরিসরে সব অফিস খোলা রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।তিনি বলেন, রাত আটটা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের মতো চলাচল সীমিত থাকবে। হাটবাজার দোকানপাট বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।এদিকে, গণ জমায়েত ও সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও ধর্মীয় উপাসনালয় খোলা থাকবে।মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ার পর ক্রমে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে।যদিও করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে তারপরেও সাধারণ ছুটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসছে সরকারের পক্ষ থেকে।