সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পারমাণবিক জ্বালানি পৌঁছালো রূপপুরে 

0
19

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও কঠোর প্রটোকলের মধ্য দিয়ে পারমাণবিক জ্বালানি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছেছে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে পাবনার রূপপুরে পৌঁছায় সেটি।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর Nuclear Security and Physical Protection System Cell (NSPC)-এর প্রধান সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইরফানুল ইসলাম খানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম ব্যাচের জ্বালানি দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে রূপপুরে পৌঁছায়।

এই কনভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

পারমাণবিক জ্বালানি বাংলাদেশে আগমনের ফলে এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ৬২তম দেশ হিসেবে ‘নিউক্লিয়ার ক্লাবে’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রথম ব্যাচের পারমাণবিক জ্বালানি নিরাপদ পরিবহনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামগ্রিক অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুনরূপে তুলে ধরার পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে এক অন্যান্য বিপ্লবের অধ্যায় উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়া থেকে আমদানি করা প্রথম ব্যাচের পারমাণবিক জ্বালানি ২৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ বিমানযোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পারমাণবিক জ্বালানির আগমন উপলক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এ জ্বালানি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় নিরাপদ পরিবহনের লক্ষ্যে বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন একাডেমি ভবনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়।