হাটহাজারীতে সংঘর্ষে নিহত ৪

0
15

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত  হলে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তির পর চারজন মারা যান বলে জানায়  হাসপাতাল সূত্র।Eআরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে মুসল্লি-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২পুলিশ জানায়, জুমার নামাজ শেষে দুপুর ২টার দিকে হাজার খানেক মাদ্রাসাছাত্র লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেয়। তারা মোদি ও বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। হঠাৎ তারা থানার দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। থানার সামনে লাগানো সুবর্ণজয়ন্তীর ব্যানার ছিড়ে ফেলে মাদ্রাসাছাত্ররা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও হেফাজত কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন।পুলিশের দাবি, নিহতদের মধ্যে তিনজন মাদ্রাসাছাত্র। তারা হলেন-মো. রবিউল ইসলাম (২৬) মো. মিরাজুল ইসলাম (৩২) ও জামিল। এছাড়া পথচারী আবদুল্লাহ মারা গেছেন। সংঘর্ষে আহত হাফেজ কারী মিরাজুল ইসলাম (২৪), ইমাম উদ্দীন (২৫), বেলাল হোসেন (২২) ও মো. সাইফুল ইসলাম (২৪) চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হেফাজত অনুসারীরা মিছিল করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তারা হাটহাজারী থানায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সংঘর্ষ চলাকালে রাস্তায় পুলিশ অবস্থান নিলে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে অনুসারীরা অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সংঘর্ষের পর মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল (ইউএনও) আমীন সময় সংবাদকে জানান, নেতাকর্মীরা ভূমি অফিসে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা আসবাবপত্র ভেঙে ফেলেছে। আমার ব্যক্তিগত গাড়িতেও আগুন দিয়েছে হেফাজতকর্মীরা। এমনকি বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ফাইলপত্রে আগুন দিয়েছে। শুধু ভূমি অফিসেই নয়, উপজেলা ডাক বাংলোতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে।