ভারত মহাসাগরে এমভি আব্দুল্লাহকে ছিনতাই করে সোমালিয়া উপকূলে নেয়ার সময় পিছু নেয় ভারত ও ইউরোপীয় নৌবাহিনী। পরবর্তীতেও চেষ্টা চালায় জাহাজ ও নাবিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে। এর মধ্যেই শনিবার কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ৩ মাস আগে ছিনতাই হওয়া মাল্টার জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করে ভারতীয় নেভি।
এমন বাস্তবতায় এমভি আব্দুল্লায় বিশেষ অভিযান চালানো যৌক্তিক হবে কি না-উঠেছে এমন প্রশ্ন। এক্ষেত্রে সামনে এসেছে কয়েকটি বিষয়। যেমন, আব্দুল্লাহর অবস্থান তীর থেকে মাত্র ৫ নটিক্যাল মাইল দূরে। যা পুরোপুরি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে। বিপরীতে রুয়েন ছিল ওপেন সি-তে। যেখানে বিদেশি নৌবাহিনীর অভিযানের সুযোগ ছিল। এ ছাড়া জাহাজে থাকা পণ্যের ঝুঁকির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
আব্দুল্লাহর বিষয়টি শুরু থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন, এমন একজন জ্যেষ্ঠ মেরিনার ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বলছেন, ২৩ নাবিকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিবেচনায় অভিযান চালানো সমীচীন হবে না। তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান নেভি কমান্ড অপারেশন চালাতে চেয়েছিল। এর জন্যে তারা অনুমতি চাইলে বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজের মালিকপক্ষ সায় দেয়নি। কারণ এতে নাবিকদের জীবন রিস্কে পরে যেত।
তিনি আরও বলেন, জাহাজটির বর্তমান অবস্থান, নিয়ন্ত্রণ আর জাহাজে থাকা পণ্যের ধরণ বিবেচনায় অভিযান চালানো কোনোভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। মুক্তিপণের পথে হাঁটাই হবে সমীচীন। তা না হলে তৈরি হবে প্রাণহানির শঙ্কা।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, হামলা চালানোর সময় বা এর পরপরই হয়ত অভিযান চালানো যেত। এখন মুক্তিপণের পথ এড়িয়ে জোর করে কিছু করতে যাওয়া হবে আত্মঘাতী।
১২ মার্চ দস্যুদের হামলার সময় এমভি আব্দুল্লাহ থেকে বিভিন্নভাবে সহায়তা চেয়ে বার্তা দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ জাহান মণিও ছাড়া পেয়েছিল মুক্তিপণের বিনিময়ে।