দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে মার্শালিং ইয়ার্ড থেকে পাচার হওয়ার সময় একটি পিকআপ ভ্যানে ৩৯ টি রেলওয়ের মূল্যবান ব্যাটারী আটক করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ( আরএনবি), এ ঘটনায় মোট ৪ জনকে আটক করা হয় তৎমধ্যে ২ জন রেল কর্মচারী ।ঘটনার প্রেক্ষিতে আরএনবি এসআই ইমন মজুমদার বাদী হয়ে আরএনবি চট্টগ্রাম জি চৌকিতে এজাহার প্রদান করিলে আটকৃতদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে সম্পদ উদ্ধার আইনে মামলা রজ্জু করে আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের নাম (১)মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন(২৫) (২)মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন(৩৫) (৩)মোহাম্মদ মামুন(২৫) ও (৪)মোহাম্মদ পারভেজ(২১)।এদের মদ্ধে প্রথম দুইজন রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারী। উদ্ধারকৃত ৩৯ টি ব্যাটারি সেলের মূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা।
এদিকে একই রাতে অপর আরেকটি ঘটনায় চট্টগ্রাম স্টেশন কেবিন এলাকায় স্পেশাল ব্যালেন্স ট্রেনের সংযুক্ত বগি থেকে পাচারের উদ্দেশ্য আনা মোট ১৮ টি কন্টেইনার ভর্তি প্রায় ৫০০ লিটার রেলওয়ের ডিজেল তৈল উদ্ধার করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ দল।ঘটনার সাথে জড়িত মোট ৩ জন রেল কর্মচারীকে আটক করা হয়।উদ্ধারকৃত তৈলের মূল্য প্রায় ৩৩ হাজার টাকা।এ ঘটনায় আটককৃতরা (১)সুমন শীল(৩৫)(২)আমজাদ হোসেন(৬৭)(৩) মোহাম্মদ শহীদ (৪৯)।আটককৃত ৩ জনের মধ্যে প্রথমজন লোকোমাস্টার দ্বিতীয়জন ট্রেন পরিচালক এবং তৃতীয়জন খালাসি।সকলেই রেল কর্মচারী।ঘটনাস্থল থেকে একজন লোকোমাস্টার ও একজন ট্রেন পরিচালক পালিয়ে যান বলে জানান আরএনবি সিআই মোহাম্মদ সালামত উল্লাহ।পলাতকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।ঘটনার প্রেক্ষিতে এসআই রাজ্জাকুল হায়দার বাদী হয়ে এজাহার প্রদান করিলে আরএনবি চট্টগ্রাম জি চৌকিতে রেলওয়ে সম্পদ উদ্ধার আইনে মামলা রজ্জু হয় এবং ধৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আরএনবি এসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট সত্যজিৎ দাশ জানান লকডাউনে সকল আরএনবি সদস্যকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রেলঅঙ্গনে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেই মতে সকল আরএনবি সদস্য রেলসম্পদ সুরক্ষায় ও তছরুপ প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে।