আইনজীবীরা সমাজের নেতা ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে আইনজীবীদের ভূমিকা অপরিসীম — তথ্য মন্ত্রী হাসান মাহমুদ

    0
    50


    সেলিম চৌধুরী সিএনএন ::

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিজ্ঞ আইনজীবীরা সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে এবং সমাজকে সঠিক ধারায় প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করেন, এই কারনে তাদের পক্ষে রাজনীতি করা সহজ হয় এবং তাঁরা সমাজের স্বাভাবিক নেতা হিসেবে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে আইনজীবীগন ভূমিকা ভূমিকা রেখেছে।
    উপমহাদেশের বড় বড় খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ উঠে এসেছে এই আইনজীবীদের থেকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন। তিনি আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর বাবাও চাইতেন তিনি আইনজীবী হোক। কিন্তু গন অধিকার আদায়ের আন্দোলন করার কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাঁকে সেই সময় বহিষ্কার করার কারণে তিনি আইনজীবী হতে পারেন নাই।
    তথ্য মন্ত্রী নিজে আইনজীবী পরিবারের সন্তান দাবী করে বলেন, ছোট বেলায় আইনজীবী বাবার হাত ধরে আদালত অঙ্গনে আসা যাওয়া
    নিজেও সন্তান কে আইন বিষয়ের পড়া শোনার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি।
    চট্টগ্রাম একটি সমৃদ্ধ বার উল্লেখ করে তিনি বলেন চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে জানিয়ে বলেন আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ হবে।
    বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
    চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ হাশেমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এরশাদুর রহমান রিটু র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান বক্তা হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সম্মানিত অতিথি এটর্নী জেনারেল এ. এম আমিন উদ্দিন।
    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভুঞা, মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা, বাংলাদেশ বার সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সাধারন সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সদস্য বদরুল আনোয়ার, চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলম ভুঁইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি শফিক উল্লাহ, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ উদ্দিন হায়দার, সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ আইনজীবী নেতৃবৃন্দ।
    ড. হাছান মাহমুদ বলেন,
    তিনি বলেন, পৃথিবীর বড় বড় রাজনীতিবিদদের দিকে যদি তাকায় তাহলে দেখা যায় ভারতবর্ষের মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল নেহেরু আইনজীবী ছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারাও আইনজীবী ছিলেন।
    , আইনজীবী পেশাটা রাজনীতির জন্য সহায়ক। আমাদের দেশের প্রথম যে পার্লামেন্ট, ৭০ এর নির্বাচনের যে পার্লামেন্ট, দেশ স্বাধীন হবার আগে পূর্ব পাকিস্তানের যে আইনসভা ছিল, পাকিস্তানের যে আইনসভা ছিল, ভারতবর্ষের বাংলার যে আইনসভা ছিল সেদিকে যদি তাকায়, সেখানে মেজরিটি ছিল আইনজীবী। পরে অর্থের দাপটের কাজে অনেকে টিকতে পারেনি। আমাদের মন্ত্রিসভায়ও পেশাগত দিক দিয়ে এখনো সবচেয়ে বেশি হচ্ছে আইনজীবী। কারণ আইনজীবীরা হচ্ছে সমাজের স্বাভাবিক নেতা। সে কারণে তাদের পক্ষে রাজনীতি করা সহজ।
    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সভাপতি
    মমতাজ ফকির বলেন
    চট্টগ্রামের আইনজীবী সমিতি ও প্রশাসনের মধ্যকার সমস্যা শুধু একজন ব্যক্তি কেন্দ্রিক সমস্যা এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান, না হলে সারা বাংলাদেশের আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবিলা করবে।
    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি আবদুর নুর দুলাল,
    চট্টগ্রাম আইনজীবীদের সমস্যা এটি শুধু চট্টগ্রামের নয় সারা বাংলাদেশের আইনজীবীদের সমস্যা এটি সুপ্রিম কোর্ট বার আইনজীবীদের ও সমস্যা একজন ব্যক্তির জন্য এটি দীর্ঘস্হায়ী হতে পারে না।
    ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, যেভাবে চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশনের অনেক সদস্য ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ভূমিকা রেখেছে। সেই বিবেচনায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি বাংলাদেশের জেলা বার গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বার। বারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলেই সেটি সবচেয়ে সমৃদ্ধ বার হয়না। যদি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অতীত সদস্যদের কথা চিন্তা করেন, তারা এই দেশের স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রাম, দেশ বিভাগের আগে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, সেই বিবেচনা যদি করেন যারা নেতৃত্ব দিয়েছে অনেকেই চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন।
    তিনি বলেন, অনেক বিজ্ঞ আইনজীবীরা এই সমিতির সদস্য ছিলেন। এখনো অনেক সদস্য আছে যারা অনেক বড় বড় আইনজীবীর চেয়েও অনেক জ্ঞান রাখেন। সেই বিবেচনায় চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশন বাংলাদেশের যত জেলা বার আছে সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ বলে আমি মনে করি।