চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে স্থাপিত সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারের পাশাপাশি নগরে আরো দুয়েকটি আইসোলেশন সেন্টার চালু করার জন্য মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে তাগিদ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ ১৩ জুন শনিবার বিকালে চসিকের উদ্যোগে চালু করা ২৫০ বেডের সিটি হল আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধনের সময় মন্ত্রী এই তাগিদ দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষের বাস। প্রতিদিন জীবিকার প্রয়োজনে ১০/১৫ লাখ মানুষ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে এই নগরে যাতায়াত করে। বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষের বসবাস। করোনা আক্রান্ত ৮০ শতাংশ ঘরে আইসোলেটেড থেকে সেরে উঠছে। তবে আক্রান্তরা ঘরে থাকলে তাদের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই করোনা আক্রান্তদের আইসোলেটেড থাকার পাশাপাশি যাতে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায় সেলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রচেষ্টায় একের পর এক আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।
এসময় তিনি মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এই আইসোলেশন সেন্টারটি স্থাপন করা হয়েছে। তবে চসিকের উদ্যোগে আরো কয়েকটি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা নিতে হবে। করোনা রোগীর চাহিদা পূরণ করতে আইসোলেশন সেন্টার বৃদ্ধি করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে আমরা সর্বোচ্চ সামথ্য অনুযায়ী নগরবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছি।তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও করোনা এখনো নিয়ন্ত্রণহীন। ঢাকার পর চট্টগ্রামই এখন করোনার হটস্পট। নগরের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই এই আইসোলেশন সেন্টারটি স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যতদিন করোনা সেবা চলবে ততদিন পর্যন্ত সিটি হল কনভেনশন সেন্টারটি ব্যবহারের জন্য চসিককে সম্মতি দিয়েছেন কনভেনশন সেন্টারের স্বত্তাধিকারী সী কম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক। এজন্য তার প্রতি চসিক ও নগরবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে ২১০টি শয্যা পুরুষদের ও ৪০টি শয্যা নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ, চসিক প্রধান নির্বাহি মো. সামসুদ্দোহা, জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, সী কম গ্রুপের নাসিরুদ্দিন মামুনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।