আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সাংবাদিক রোজিনাকে নিগ্রহের খবর ছাপা হলো

    0
    16

    পর গ্রেপ্তারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আবারও শিরোনাম হলো বাংলাদেশ। এ ঘটনায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে বিদেশেও। এদিকে রোজিনাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিক সমাজসহ সব শ্রেণিপেশার প্রবাসীদের মধ্যে নিন্দার ঝড় বইছে।অনুসন্ধানী রিপোর্টিংয়ের কারণে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সুনাম কুড়িয়েছেন- পেয়েছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। তার গ্রেপ্তারের খবর গুরুত্ব পেয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট শিরোনাম করেছে ‘অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবেদনের জন্য খ্যাত সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ’। অ্যাসোসিয়েট প্রেসের এ রিপোর্টটি ছেপেছে এবিসি নিউজসহ যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা, ডয়েচে ভেলে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসও গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে সাংবাদিক নিগ্রহের এ ঘটনা।নিউইয়র্কে সাপ্তাহিক আজকালের প্রধান সম্পাদক মনজুর আহমদ ও সাংবাদিক-কলামিস্ট হাসান ফেরদৌস এবং টিবিএন২৪ এর প্রধান বার্তা সম্পাদক নূপুর চৌধুরী রোজিনার বিষয়টি নিয়ে তারা মন্তব্য তুলে ধরেন এবং গ্রেপ্তার ও হেনস্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।সাংবাদিক ও অনুষ্ঠান নির্মাতা শামীম শাহেদ বলেন, আমাদের দেশের সাংবাদিকরা যারা প্রবাসে আছেন তারাও যেমন চিন্তিত, আন্তর্জাতিক অন্যান্য দেশের সাংবাদিকরাও এদিকে তাকিয়ে আছেন। যে পরিমাণ সংবাদ আমরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে হতে দেখছি তাতে আমার মনে হয় এই মামলার পরিণতি কী হবে তার ওপর নির্ভর করবে আমাদের ভবিষ্যৎ সাংবাদিকতা এবং দেশের বাইরে আমাদের ভাবমূর্তি।নিউইয়র্কে টিবিএন২৪-এর হেড অব নিউজ সুলতানা রহমান বলেন, রোজিনা তার কাজ দিয়ে মন জয় করেছে। সে নিঃশ্বার্থ ও দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার প্রতিটি রিপোর্ট নতুন করে কথা বলেছে, তথ্য উন্মোচন করেছে। সরকার যদি তার তথ্যের ভিত্তিতে সত্যেই যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রয়োগ করতে চায় দেশে অনেক উন্নতি হতো। আজকে যেটি রোজিনার সঙ্গে করা হয়েছে খুবই অন্যায় করা হয়েছে। আর আমরা যারা প্রবাসে আছি আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।   সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন তার প্রবাসী সহকর্মীরাও।একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি শামীম আল আমিন বলেন, রোজিনার গ্রেপ্তার ও হেনস্তা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সবাই কথা বলছেন। সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।প্রবাসী সাংবাদিকরা বলেছেন, রোজিনা তার পেশাগত দায়িত্বই পালন করেছেন, কোনো চৌর্যবৃত্তি নয়।অফিশিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্ট কার্যকর হলে বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা থাকবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ টেনে প্রবাসী সাংবাদিকরা বলেছেন, এতে দেশের নাগরিকরাও তথ্য জানার অধিকার হারাবেন।