আমিরাতে নদিমপুর প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন

    0
    8

    আমিরাত প্রতিনিধি:
    সংযুক্ত আরব আমিরাতে নদিমপুর প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের (এনপিকেপি) উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উৎযাপন করা হয়েছে। শনিবার (২২ অক্টোবর) রাতে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল সিটি রাসিয়াস্থ আল মদিনা রেস্টুরেন্ট হল রুমে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বাদে মাগরিব খতমে কোরআনেরও আয়োজন করা হয়।

    চট্টগ্রাম রাউজানের নদিমপুর প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবসায়ি ও দুবাই বিজিনেস ফোরামের সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে পরিষদের সিনিয়র সদস্য এম শাহেদ সরওয়ারের সঞ্চালনায় মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ি ও পরিষদের সিনিয়র সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফরিদ, প্রধান আলোচক ছিলেন ব্যবসায়ি ও পরিষদের সিনিয়র সদস্য আলহাজ্ব মৌলানা মুহাম্মদ ফজলুল আজীম।

    মোহাম্মদ তামিম আল মারুফ’র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে মাহফিলে পবিত্র হামদ ও নাতে রাসূল (দঃ) পেশ করেন মোহাম্মদ হিশাম আল মারুফ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সদস্য রেজাউল আজম চৌধুরী। মাহফিলে আলোচনায় অংশ নেন বিশেষ আলোচক হাফেজ মোহাম্মদ ফারুক, পরিষদের সদস্য রেজাউল করিম।

    প্রবাসীদের মিলনমেলায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আজিজ খাঁন, রেজাউল লিটন চৌধুরী, শাহ আমান, হানিফ সিকদার, জাকের হোসেন জুনু, হাসান চৌধুরী, আলতাফ উদ্দিন জনি, কাজী মোহাম্মদ সোহেল, বাবর, মোজাহের, আব্বাস, আলম, লিটন, সাগর, ইব্রাহীম, বাচন, আজিজ, গিয়াস, জুয়েল, খোকন, হাসান, খোরশেদ, মুছা, জাবেদ, মোস্তফা, মানিক, শিবলু, সুজন, সাজ্জাদ, জাহেদ, ইমন সহ প্রমুখ।

    মাহফিলে বক্তারা বলেন, ১২ রবিউল আউয়ালকে মুসলিমসহ সমগ্র দুনিয়ার জন্য একটি অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদ ধন্য দিন। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সমস্ত জগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত। হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়ত প্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর এই খ্যাতি ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল। তাঁর মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সদ্‌গুণের: করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির আল্লাহর হাবীব হিসেবে তিনি সব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।

    অনুষ্ঠানের সভাপতির সমাপনী বক্তব্য শেষে মিলাদ ও মুনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ্ব মৌলানা মুহাম্মদ ফজলুল আজিম।