ইসি গঠনে সরকারের ইউটার্ন, চলতি অধিবেশনেই হচ্ছে আইন

0
21

নির্বাচন কমিশন আইন করতে রাষ্ট্র্রপতির কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। জবাবে রাষ্ট্রপতি জানান, চলতি অধিবেশনেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন তিনি।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতি সংলাপ শেষে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে এ কথা নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম। নতুন কমিশনার হিসেবে কারো নাম প্রস্তাব করেনি দলটি।

সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে। তাদের নানা কর্মকাণ্ডে নতুন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোনা। নতুন ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে ডাকেন রাষ্ট্রপতি। এই সংলাপে কোন ফল আসবে না বলে তা বয়কট করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল।

অন্যদিকে ইসি গঠনে জোরালো হতে থাকে আইন করার দাবি। ক্ষমতাসীনরা আইন করার পক্ষে থাকলেও সময়ের অজুহাতে হাঁটছিলো পুরনো পদ্ধতিতেই।

কিন্তু হঠাৎ করেই সোমবার (১৭ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে কমিশন গঠনে খসড়া আইনের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ। যে আইনে সার্চ কমিটির মাধ্যমেই কমিশন গঠনের বিধান রয়েছে। সংলাপের পর দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম জানিয়েছেন, নতুন কমিশনের জন্য কোন নাম প্রস্তাব করেনি আওয়ামী লীগ।

এদিকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, জনস্বার্থে নির্বাচন কমিশন গঠনে এই আইনের বিকল্প নেই। নতুন আইনেই গঠিত হবে ইসি। বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে কারও নাম প্রস্তাব করা হয়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। এক্ষেত্রে কারও নাম সুপারিশ করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, ইসিকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগতভাবে শক্তিশালী করতে হবে। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ। 

এর আগে বিকেলে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠনে চলমান সংলাপে অংশ নেয় আওয়ামী লীগের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।