এস এম জমিরের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন।

0
155

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
গণমাধ্যমে নানাভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে
নগরীর খুলশী গার্ডের ভিউ আবাসিক এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে জমি দখলের পায়তারা করছে এস এম জমির উদ্দিন। তার নামে কোন জায়গা জমি না থাকার স্বত্বেও অন্যজনের জমি নিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জায়গা দখলের অপেচষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এই আবাসিকের সুনাম নষ্ট হচ্ছে, ব্যাহত হচ্ছে চলামান উন্নয়ন। শুধু তাই নয় জমির উদ্দিনের অসহযোগিতা ও ক্রুটি বিচ্যুতি রাখার কারণে গত ১৬ বছর ধরে এই আবাসিক এলাকা কার্যকর অালোর মুখ দেখেনি। বড় ধরনের বিনিয়োগের ঝুঁকিতে পড়েছে জমির মালিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মো. আলমগীর আলম নামে ওই হাউজিং সোসাইটির জায়গার মালিক এসব অভিযোগ করেন।
মো. আলমগীর আলম বলেন, খুলশী মৌজার আরএস ৫৫৩ দাগের পিএস ১৮০ দাগের ৬ একর জমি প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে আমি কিনে নিই। ওই দাগের কিছু জমি এস.এম জমির উদ্দিনও কিনে নেয়। জমির উদ্দিন ও আমার অধীনে থাকা জমিগুলো নিয়ে খুলশী গার্ডেন ভিউ আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়। জমির উদ্দিন তার অধীনে থাকা জমিগুলো বিক্রি করে দেন। কিন্তু এখন জমির উদ্দিন আমার অধীনে থাকা জমিগুলো দখলের পায়তারা করছে।

আলগীর আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমি আমার ২ একর জমি এবং একই দাগের জমির মালিক আকতার হোসেন মনসুরের স্বত্ব দখলে থাকা ৩০ শতক ভূমিসহ মোট ১ দশমিক ৮৬ জমি মহিউদ্দিন বাচ্চুর কাছে বিক্রির জন্য ২০১৭ সালে চুক্তিবদ্ধ হই। এসব জমি নিয়ে কোনো প্রশ্ন না ওঠার জন্য ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বৈঠক হয়। পরে চলতি বছরের ১৩ মে খুলশী গার্ডেন ভিউ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, অন্যান্য কর্মকর্তা, জমির উদ্দিনের উপস্থিতিতে আমার স্বত্বের জমি মহিউদ্দিন বাচ্চুকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আরও কিছু জমি জমির উদ্দিন বুঝিয়ে দিবেন বলে জানান।

তিনি বলেন, সোসাইটির ভেতরে ও আশপাশের এলাকায় জমির উদ্দিন সম্পর্কে জমির মালিক না হয়েও জাল দলিল তৈরির জনশ্রুতি আছে। জমির উদ্দিনের এসব আচরণের কারণে আমার পরিস্কার জমিগুলো নিয়েও জনমনে বিরুপ ধারণা সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, আমিসহ বেশকিছু জায়গার মালিক জমির উদ্দিনের কারণে বিভিন্নভাবে ভোগান্তি ও কষ্ট ভোগ করে আসছি।

আলমগীর বলেন, আমার সঙ্গে বায়নাকৃত জমি মহিউদ্দিন বাচ্চুকে বুঝিয়ে দেওয়ার পর জমির উদ্দিন উপলব্ধি করে, তার অপকর্ম জনসমক্ষে প্রকাশ হবে এবং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা দলিল গ্রহীতারা ক্ষতিপূরণ দাবি করবে। তাই এখন জমির উদ্দিন নিজে উপস্থিত থেকে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে আমার স্বত্বের বুঝিয়ে দেওয়া জমি নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই অপপ্রচারের পর খুলশী গার্ডেন ভিউ হাউজিং সোসাইটি কর্তৃপক্ষ ৯ সদস্যের কমিটি করে সমাধানের লক্ষ্যে গত ৮ জুন এই কমিটি একটি সভা করে। সেখানে মহিউদ্দিন বাচ্চু ও জমির উদ্দিনকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। কিন্তু মহিউদ্দিন বাচ্চু সভায় উপস্থিত হলেও জমির উদ্দিন সভায় উপস্থিত হয়নি । তবে সভায় জমির উদ্দিন মোবাইলে সংযোগ স্থাপন করে। এ সময় উপস্থিত সকলে লাউড স্পিকারে জমির উদ্দিনের বক্তব্য শুনেন। এতে জমির উদ্দিন গত ১৩ মে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে আমার মালিকানায় বিদ্যমান প্লট ও ভূমির মধ্যে আনুমানিক ২৮ কাঠা ভূমি চিহ্নিত করে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়টি এ সময় স্বীকার করেন।

আলমগীর আরও বলেন, জমির উদ্দিনের বর্তমানে আমমোক্তার মূলে অধিকারে প্রাপ্ত আর কোনো ভূমি অবশিষ্ট নেই। এরপরও লাকী আকতার নামে এক ব্যক্তিকে বায়না প্রদান করেছেন মর্মে আমার একটি জমিতে ব্যানার সাটিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে জমির উদ্দিন। ওই ব্যানারে লাকী আকতারকে একুশে পত্রিকার সম্পাদনা সহকারী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাকী আকতার জাল-জালিয়াতির হোতা এসএম জমির উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী। উক্ত লাকী আকতারের সংবাদ মাধ্যমের পরিচয় ব্যবহার করে তার স্বামী এসএম জমির উদ্দিন অবৈধ দখল কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত।