কক্সবাজারে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ২, আহত ৩০

    0
    21

    কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় নির্বাচনি সহিংসতায় দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোট চলাকালে এসব ঘটনা ঘটে। 

    জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আবুল কালাম নামে একজন নিহত হন। এ সময় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হন। বেলা ১১টার দিকে কুতুবজোমের একটি ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। 

    এদিকে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের পিলটকাটা কেন্দ্রে সংঘর্ষে আব্দুল হালিম নামে একজন নিহত হয়েছেন।

    মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোমের আবুল কালাম স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থক বলে জানা গেছে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের কারণে দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী শেখ কামাল এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে ভোট জালিয়তি নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই আবুল কালাম (৪০) নিহত হন।কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। যেখানে উত্তপ্ত হয়েছে সেখানের পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে।

    এরআগে স্থগিত থাকা ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও ৯টি পৌরসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা চলবে ভোটগ্রহণ।

    ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মধ্যে ৪৪টিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে অন্যপদগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত না হওয়ায় ১৬০টিতেই ভোট হবে। এর মধ্যে ১১টিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

    এছাড়া পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, যশোরের নওয়াপাড়া, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালী কবিরহাট, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এবং কক্সবাজার জেলার মহেশখালী ও চকরিয়া পৌরসভার ভোট হবে আজ। সবগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

    ইসি জানিয়েছে, প্রতি ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ২২ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ৯২জন নির্বাহী হাকিম ও ৫৭ জন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাচনী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করতে। এছাড়া র‍্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ডের সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যে প্রস্তুতি নিয়েছে তাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যেই ৩০ শতাংশ ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

    ইসির সূত্র জানায়, দেশে প্রথম ধাপে ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ১১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ১ এপ্রিল তা স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছিল। তখন ১৬৭ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। 

    তবে প্রার্থী মারা যাওয়ায় ৫টি, মামলাজনিত ১টি এবং আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের কারণে ১টি ইউপিতে আপাতত ভোট হচ্ছে না।