করোনায় দেশের অর্থনীতি ও জনজীবন স্বাভাবিক রাখার রূপরেখা দিলেন অধ্যাপক পারভেজ

0
192

সিএনএন নিউজ ডেস্ক:: করোনা ভাইরাসের ব্যাপকহারে সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সরকার থেকে শুরু করে ব্যক্তি উদ্যোগে সবাই হাত বাড়াচ্ছে অসহায় মানুষে দিকে। ইতোমধ্যে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে সচল রাখতে বিশাল বাজেটের প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের এই ক্রান্তিকালে প্রণোদনা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ।

অধ্যাপক পারভেজ সময় জার্নালকে বলেন, দেশের অর্থনীতি ও জনজীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রণোদনা দিয়েছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু এই প্রণোদনা বাজেট শিল্পখাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে প্রশ্ন উঠেছে। প্রণোদনায় সাধারণ ব্যবসায়ী, গ্রামীণ অর্থনৈতিক এবং দেশের অন্যতম প্রবৃদ্ধি ক্ষেত্র কৃষিখাতকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে মনে করেন দেশের অর্থনীতিবিদরা। প্রশ্ন উঠেছে বরাদ্দকৃত বাজেট সঠিকভাবে ব্যয় হবে কিনা। নাকি বরাদ্দকৃত হাজার হাজার মেট্রিক টন চাল, ডালের মত হ-য-ব-র-ল কিংবা দুর্নীতির পথে হাঁটবে এ প্রণোদনা বাজেট।

এই দুর্যোগকালে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশ ও জনগণের স্বার্থে একটি রূপরেখা তুলে ধরেন ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনোমিকস রিসার্চ (এনবিইআর) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক পারভেজ। সময় জার্নালের পাঠকদের জন্য অধ্যাপক পারভেজের দেয়া রূপরেখাটি তুলে ধরা হল –

  • দেশে খাদ্য উৎপাদন হয় ৩৮১.৪১ লক্ষ মেট্রিক টন। ২ কোটি হতদরিদ্র মানুষের খাদ্যের গড় হিস্যা প্রায় ৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন। ৩০ টাকা দরে এর মূল্য ১৪২৫০ কোটি টাকা হলে সারা বছর ডালভাত খাওয়ানো যায়।
  • ৭৫০০ কোটি টাকা হলে ছয়(৬) মাস খাওয়ানো যায়। এটা জাতির পিতার কন্যার জন্য কোন অসাধ্য কাজ নয়!
  • বিগত বছরগুলোতে খাদ্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ধান, গম,ডাল, আলু, শাক সব্জি,মাছ ইত্যাদির জন্য কৃষি অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাত্র আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রবাহ বাড়িয়ে দিলে একদিকে জ্যামিতিকহারে উৎপাদন বেড়ে যাবে অন্যদিকে গ্রামীণ অর্থনীতি গতিশীল হয়ে দারিদ্র বিমোচন হবে।
  • সমাজে কথা উঠেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিম্ন ও মধ্যবিত্তকে কিভাবে সহায়তা দিবে? বর্তমানে প্রাইমারী শিক্ষার ১.৫ কোটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য যে পদ্ধতিতে উপবৃত্তি চালু আছে একই ডেটাবেজ ব্যবহার করে প্রতি পরিবারকে প্রতি মাসে ২০০ টাকা উপবৃত্তির অতিরিক্ত ১০০০ টাকা করে ১৫০০ কোটি টাকা মোবাইল ক্যাশের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করলেই মধ্যবিত্ত পরিবার কিছুটা স্বস্তি পাবে। দুর্নীতি মুক্ত রেখে এই ব্যবস্থাকে অতি স্বত্তর বাস্তবায়ন করা যাবে।