কাতারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সৌদির প্রতি আহ্বান

    0
    20

    কাতারের ওপর সৌদিসহ চার দেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে তুলে নিতে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। আরোপিত অবরোধের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে উদ্বেগ জানায় সংস্থাটির স্বাধীন বিশেষজ্ঞ আলেনা দোহান।বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের জুনে উপসাগরীয় মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনের পাশাপাশি মিসরকে নিয়ে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা এবং ইরান সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটগুলি। একই সঙ্গে ভিত্তিহীন অভিযোগে চাপিয়ে দেয়া অবরোধে দোহা মানবাধিকার লঙঘনের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় কাতার থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা অনতিবিলম্বে তুলে নেয়ার আহ্বান জানান।নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটির মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। কাতারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগে সৌদি জোট নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেগুলো বরাবরই প্রত্যাখান করেছে আসছে দোহা। কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদে মদদ কিংবা সহযোগিতা করেনি বলেও দাবি দেশটির। তবে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে এই মর্মে কাতার দিকে শর্ত ছুঁড়ে দেয় সৌদিসহ চার দেশ। এবং ১০ দিনের মধ্যে শর্তগুলি পূরণ করতে বলা হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখান করে দোহা।কাতারকে ঘিরে অচলাবস্থার ফলে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কাতার ও সৌদি আরবসহ বিবাদমান সব দেশের সঙ্গেই ওয়াশিংটন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে এসেছে। পক্ষপাত দেখানো তাদের জন্য কঠিন ছিল। তাই সব পক্ষের উদ্দেশ্যে আলোচনার মাধ্যমে সংকট মেটানোর আহ্বান জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন।আরো পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে আবারো মৃত্যুর মিছিল, ৭৪ অভিবাসীর প্রাণহানিসঙ্কট সমাধানে বেশ কয়েক বার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বেশি দূর গড়ায়নি। চলমান সমস্যা নিরসনে সংলাপে বসতে তার দেশ প্রস্তুত বলে জানান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। এক্ষেত্রে তার দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সর্বোচ্চ সমান দিতে হবে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।দীর্ঘ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিকভাবে বেশ ভুগতে হচ্ছে কাতারকে। প্রভাব পড়েছে দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রবাসীরা।