মাদক মামলায় গ্রেফতারের পর টানা ২৬ দিন বন্দিজীবন কাটিয়ে অবশেষে মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন এ নায়িকা।
ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে যারা কারাফটকে অপেক্ষায় ছিলেন, সাদা গাড়ির সানরুফ খুলে উঁচু হয়ে দাঁঁড়িয়ে হাত নেড়ে ভক্তদের ভালোবাসার জবাব দেন। কিন্তু অনেকের চোখ আটকে গেল হাতের তালুতে আঁকা একটি লেখায়— ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’।
সেই লেখাই সামাজিক মাধ্যমে রীতিমত আলোচনার ঝড় তুলেছে।
হাতে মেহেদীর রঙে আঁকা ওই লেখার মাধ্যমে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন, কাকে বা কাদের উদ্দেশে তা লিখেছেন? সে প্রশ্নে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।
ইংরেজি হরফের সেই বাক্যের রহস্য কী? সবশেষে মধ্যাঙ্গুলি প্রদর্শন করেলেন কাকে?
পরীর ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে দিনভর এ নিয়ে চর্চা হয়েছে।
অবশেষে রহস্যের উন্মোচন করলেন পরীমনি।
জবাব দিয়েছেন কারাভ্যন্তরে হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা এই বাক্য কার বা কাদের উদ্দেশ্যে।
বিবিসি বাংলাকে পরীমনি বলেন, ‘ডেফিনেটলি এটা তো একটা বার্তাই ছিল। এত কথা তো বলতে পারছিলাম না ওখানে বসে, মনে হলো এভাবে পৌঁছিয়ে দেই সবাইকে। এখন এটা দেখে যে মনে করবে, যার মনে হবে, আমাকে বলছে মনে হয়, ওর জন্যেই বলছি আমি।’
পরী হেসে বলেন, ‘বিচের সংখ্যা তো অনেক লম্বা, নির্দিষ্ট করে কীভাবে বলবো?’
এই বিচ কারা জানতে চাইলে পরীমনি বিবিসিকে বলেন, ‘যারা বিচ, তাদের উদ্দেশ্য করে লেখা। যে যে বিচ, যারা মনে করে আল্লাহ, আমাকে এটা আমাকে লিখছে কিনা, সে-ই বিচ।’
এরপর ব্যাখ্যা দেন- দেখেন না যখন আমি গ্রেফতার হলাম তখন এক রকম অ্যাকটিভিটিজ। আবার যখন জামিন পেলাম, তখন অন্যরকম অ্যাকটিভিটিজ। ওরা হইল বিচ।’
পরীমনি আরও বলেন, ‘ওদের ভালোবাসার দরকার নেই। মুখে এক, মনে এক – ওদের ভালোবাসার দরকার নেই। যারা আমাকে ভালোবাসে, তারা আমার পাশে থাকলেই হবে।’
কারাগার থেকে বেরিয়ে নিজের হাতে ওই লেখাটি তিনি লিখেছেন বলে বিবিসি বাংলাকে জানান পরীমনি।