কাল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি

    0
    8

    করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে আগামীকাল রোববার (১৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। আগামী ২৩ নভেম্বর এ পরীক্ষা শেষ হবে।

    কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে এমসিকিউ ও রিটেনের মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।  

    করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পরীক্ষার হলে প্রতি বেঞ্চে একজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হবে। 

    এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা তিনটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। থাকছে না আবশ্যিক ও চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা। বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান বা উচ্চতর গণিতে।

    মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, ভূগোল ও পরিবেশ এবং অর্থনীতি/পৌরনীতি ও নাগরিতকা। আর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবে ব্যবসায় উদ্যোগ, হিসাব বিজ্ঞান এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ে। 

    পরবর্তন এসেছে নম্বর বণ্টনেও, বিজ্ঞান বিভাগে লিখিত ৮টি প্রশ্নে মধ্যে ২টি প্রশের উত্তর দিতে হবে। প্রতি প্রশ্নে মান ১০। এছাড়া ১২ নভেম্বর এমসিকিউ থাকবে। 

    লিখিত ২টি প্রশ্নে মানকে ৫০ নম্বরে কনভার্ট করে এবং ১২ নম্বরের এমসিকিউকে ২৫ নম্বরে কনভার্ট করে ফলাফল নির্ধারণ করতে বোর্ড। 

    এছাড়া ২৮ নভেম্বরের মধ্যে ব্যবহারিকের ২৫ নম্বর বোর্ডকে জানাবে স্কুল। ঠিক একইভাবে বাণিজ্য ও মানিবক বিভাগে লিখিত ১১টি প্রশ্নে মধ্যে ৩টি উত্তর দিতে হবে। থাকবে ১৫ নম্বরের এমসিকিউ। 

    মার্ক বণ্টনের ক্ষেত্রে লিখিত তিনিটি প্রশ্নকে ৭০ নম্বরে রূপান্তর করে এবং ১৫ নম্বরের এমসিকিউকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে ফলাফল নির্ধারণ করবে বোর্ড। 

    এ বিষয়ে আন্তঃবোর্ড সমন্বয় উপকমিটির সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, যে বিষয়গুলোতে পরীক্ষা নেওয়া হবে সে বিষয়ের নম্বরকে ১০০ তে কনভার্ট করা হবে। সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার্থী প্রতিটি বিষয়ে একশ নম্বরের নম্বরপত্র পাবে। 

    প্রসঙ্গত, গত বছরের থেকে চলতি বছরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসেব বলছে, চলতি বছর ৩ হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে মোট ২৯ হাজার ৩৫টি স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে। 

    ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১৭ হাজার ৬৭৬টি স্কুলের ১৮ লাখ ৯৯৮ জন শিক্ষার্থী। আর ৯ হাজার ১১০টি মাদ্রাসার ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭জন পরীক্ষার্থী ৭১০টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেবে ২ হাজার ৩৪৯টি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন শিক্ষার্থী।