কিয়ামতের পূর্বেকার বাহাত্তরটি আলামতঃ বিস্ময়কর হাদীস শরীফ

0
314


আহমদুল্লাহ ফোরকান খান
আরবী প্রভাষক,
রাউজান দারুল ইসলাম কামিল মাদরাসা
খতীব,
হযরত কাতাল পীর শাহ (রহঃ) শাহী জামে মসজিদ, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম ৷


প্রাক কথনঃ এ লেখাটি কোন ব্যক্তি, দল , সমাজ বা রাজনীতির বিরুদ্ধে নয় ৷ মানবতার মুক্তির দিশারী, সমস্ত সৃষ্টির জন্য রহমত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেড় হাজার বছর পূর্বে আরবী ভাষায় যে ভবিষ্যদ্বানী করেছেন তার সরল বঙ্গানুবাদ মাত্র ৷ এখানে কিয়ামতের পুর্বেকার ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের এমন কতেক চরিত্রের কথা বলা হয়েছে, যা আমাদের বিস্মিত, হতবাক করে দেয় ৷ যার প্রায় সবকটি ইতোমধ্যে দৃশ্যমান ৷ এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়বের অধিকারী ৷

এখানে অধম লেখকের উদ্দেশ্য হলো, আমরা হাদীসে পাক থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজকে সংশোধন করবো ; তাওবা করবো ৷ আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজ নিজ অপরাধ স্বীকার করে কান্নাকাটি করে ক্ষমা প্রার্থনা করবো ৷ আল্লাহ তায়ালা আপন হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উসীলায় আমাদেরকে চলমান মহা বিপর্যয় ও দুর্যোগ থেকে রক্ষা করুন ৷

কুরআন কারীম ও হাদীস শরীফের কিতাবসমূহে কিয়ামতের বিভিন্ন আলামত তথা নিদর্শনের কথা বর্ণিত হয়েছে ৷ এখানে সবগুলো আলামত বর্ণনা করা হয়নি ৷ শুধুমাত্র একটি হাদীসে পাকে বর্ণিত আলামতসমূহ উল্লেখ করা হলো ৷

স্মর্তব্য, কিয়ামতের আলামতসমূহ দুধরণের,
❃ এক, প্রকাশিতব্য ৷ যা এখনও প্রকাশিত হয়নি যেমন, দাজ্জাল , হযরত ঈসা (আঃ) ও ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমন, এরপর সূর্য পশ্চিমে উদিত হওয়া ইত্যাদী ৷ এগুলোকে বড় আলামতও বলা হয় ৷

❃ দুই , প্রকাশিত ৷ যেমন, নিম্নোক্ত হাদীসে বর্ণিত নিদর্শনসমূহ – যা ইতোমধ্যে অধিকাংশ প্রকাশিত হয়েছে ৷ যে নিদর্শনগুলোকে ছোট আলামতও বলা হয়ে থাকে ৷

※※※※※※※※
উল্লেখ্য এখানে হাদীস শরীফের অনুবাদ শুরুতে এবং ইবারত শেষে উল্লেখ করা হচ্ছে ৷আরবী শিক্ষিত নন এমন অনেক পাঠক হাদীসের বিশাল ইবারত দেখে হাল ছেড়ে দেন ৷ পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ৷
※※※※※※※※

         ★ হাদীস শরীফের বঙ্গানুবাদ ★

হযরত হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার বাহাত্তরটি আলামত রয়েছে ৷
যখন তোমরা দেখবে –
১❗মানুষ নামাযকে হত্যা করবে অর্থাৎ নামায ছেড়ে দিবে ,
২❗আমানত (গচ্ছিত সম্পদ) নষ্ট করবে,
৩❗সুদ ভক্ষণ করবে ও ঘুষ নিবে,
৪❗মিথ্যা তথা অসত্য বলাকে হালাল মনে করবে,
৫❗রক্তপাত ও খুন করাকে তুচ্ছ মনে করবে,
৬? উঁচু ভবন তৈরী করবে,(উঁচু ভবন তৈরী হওয়া কিয়ামতের পূর্বনিদর্শন হলেও দোষনীয় নয় ৷ যেমন ইমাম মাহদীর আগমন যদিও কিয়ামতের আলামত কিন্তু উম্মতের জন্য রহমত – লেখক)
৭❗ পার্থিব সম্পদের বিনিময়ে দ্বীন তথা ধর্মকে বিক্রি করবে,
৮❗ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে,
৯❗আইন বা প্রশাসন দুর্বল হবে,
১০❗মিথ্যাকে সত্য মনে করা হবে,
১১❗পুরুষরা রেশমী পোশাক পরিধান করবে,
১২❗ অন্যায় বেড়ে যাবে,
১৩❗তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ বৃদ্ধি পাবে,
১৪❗ হঠাৎ মৃত্যু বেড়ে যাবে,
১৫❗খিয়ানত কারী তথা বিশ্বাসঘাতকের প্রতি আস্থা রাখা হবে,
১৬❗বিশ্বস্তলোককে অবিশ্বাস করা হবে,
১৭❗মিথ্যাবাদীকে সত্যবাদী মনে করা হবে,
১৮❗সত্যবাদীকে মিথ্যাবাদী মনে করা হবে,
১৯❗ অপবাদ বেড়ে যাবে ৷ অর্থাৎ চরিত্রবান লোককে চরিত্রহীনতার মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হবে,
২০❗বৃষ্টি উষ্ণ হবে,
২১❗সন্তান পিতামাতার অবাধ্য হবে,
২২❗নিকৃষ্ট লোকেরা প্রাচুর্যের অধিকারী হবে,
২৩❗সন্মানিত লোকেরা অভাবগ্রস্ত হবে,
২৪❗আমীর বা নেতাগণ পাপিষ্ট হবে,
২৫❗উজিরগণ মিথ্যাবাদী হবে,
২৬❗আমানত রক্ষকগণ ভক্ষক হবে,
২৭❗বিজ্ঞরা জালিম হবে,
২৮❗ আলিমরা ফাসিক হবে,
২৯❗ যখন মানুষ মেষের চামড়া পরিধান করবে,
৩০❗তাদের অন্তরগুলো পঁচা নাড়িভুঁড়ির চেয়ে দুর্গন্ধময় হবে, তিক্তফলের চেয়েও তিক্ত হবে,
৩১❌ তখন তাদের উপর এমন অনবরতঃ ফিতনা বা আযাব পতিত হবে যেভাবে জালিম ইহূদীদের উপর পতিত হয়েছিল,
৩২❗ হলুদ মুদ্রা ( দীনার ) বৃদ্ধি পাবে,
৩৩❗শ্বেত মুদ্রা (দিরহাম) লক্ষ্যবস্তু হবে,
৩৪❗ ভুলভ্রান্তি বৃদ্ধি পাবে,
৩৫❗ আমীরগণ সীমালঙ্গনকারী হবে,
৩৬♦️কুরআনের কপিগুলো সুসজ্জিত হবে,
৩৭♦️মসজিদের সৌন্দর্যমন্ডিত করা হবে,
৩৮♦️ মিনারগুলো সুউচ্চ হবে,
( কুরআনের কপি সুসজ্জিত করা, মসজিদকে সুন্দর করা ও মিনার সুউচ্চ হওয়া এসব মন্দ আলামত নয়; শুধুমাত্র তখনকার অবস্থার ভবিষ্যদ্বানী – লেখক)
৩৯❗অন্তরগুলো বিনষ্ট তথা হেদায়তশূন্য হবে,
৪০❗মদপান করা হবে,
৪১❗ শাস্তিদন্ড তথা অপরাধের বিচারকার্য বিলম্বিত হবে,
৪২❗দাসী তার প্রভুকে প্রসব করবে,
৪৩❗পাদুকা ও বস্ত্রহীন লোকেরা রাজা বাদশা হবে,
৪৪❗স্ত্রী তার স্বামীর ব্যবসায় অংশীদার হবে,
৪৫❗ পুরুষ নারীর বেশ ধারণ করবে,
৪৬❗ নারী পুরুষের মতো বেশভুষা ধারণ করবে,
৪৭❗ কেউ শপথ করতে না বললেও শপথ করা হবে,
৪৮❗ সাক্ষ্য তলব করা ছাড়া যেচে সাক্ষ্য দিবে,
৪৯❗কেবলমাত্র চেনা জানা মানুষকে সালাম দেয়া হবে,
৫০❗ দ্বীনি উদ্দেশ্য ভিন্ন (দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের জন্য ) পান্ডিত্য অর্জন করা হবে,
৫১❗ আখিরাতের আমলের বিনিময়ে দুনিয়া তালাশ করবে,
৫২❗ রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করবে,
৫৩❗ আমানতকে গনীমত মনে করবে,
৫৪❗ যাকাতকে জরিমানা মনে করবে,
৫৫❗ সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি জাতির নেতা হবে,
৫৬❗ সন্তান তার পিতার অবাধ্য হবে,
৫৭❗ মায়ের প্রতি কঠোর হবে,
৫৮❗ বন্ধুর প্রতি সদাচরণকারী হবে,
৫৯❗ স্ত্রীর অনুগত হবে,
৬০❗ মসজিদের মধ্যে ফাসিকরা উচ্চবাচ্য করবে,
৬১❗নর্তকী- গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের প্রতি আসক্ত হবে,
৬২❗রাস্তায় প্রকাশ্যে মদপান (মাদকদ্রব্য গ্রহণ) করা হবে,
৬৩❗ জুলম নির্যাতনকে অহংকারের বিষয় গণ্য করা হবে,
৬৪❗ আইন বা প্রশাসন বিক্রিত হবে,
৬৫❗ নিপীড়ক বাহিনী বৃদ্ধি পাবে,
৬৬❗ কুরআনকে বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে,
৬৭❗ হিংস্রজন্তুর চামড়াকে পরিধেয় বানাবে,
৬৮❗ মসজিদগুলো চলাচলের রাস্তা হবে,
৬৯❗ উম্মতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীগণকে অভিশাপ দিবে,

তখনই তোমরা ভয় করবে –
❌৭০) উষ্ণ বাতাস অথবা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ,
❌৭১) ভূমিধ্বস ও
❌৭২) চেহারা বা আকৃতি বিকৃত হওয়া সহ বিভিন্ন নিদর্শনের ৷

عن حذيفة بن اليمان قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:
مِنِ اقْتِرَابِ السَّاعَةِ اثْنَتَانِ وَسَبْعُونَ خَصْلَةً: إِذَا رَأَيْتُمُ النَّاسَ أَمَاتُوا الصَّلَاةَ، وَأَضَاعُوا الْأَمَانَةَ، وَأَكَلُوا الرِّبَا، وَاسْتَحَلُّوا الْكَذِبَ، وَاسْتَخَفُّوا الدِّمَاءَ، وَاسْتَعْلَوُا الْبِنَاءَ، وَبَاعُوا الدِّينَ بِالدُّنْيَا، وَتَقَطَّعَتِ الْأَرْحَامُ، وَيَكُونُ الْحُكْمُ ضَعْفًا، وَالْكَذِبُ صِدْقًا، وَالْحَرِيرُ لِبَاسًا، وَظَهَرَ الْجَوْرُ، وَكَثُرَ الطَّلَاقُ وَمَوْتُ الْفُجَاءَةِ، وَائْتُمِنَ الْخَائِنُ، وَخُوِّنَ الْأَمِينُ، وَصُدِّقَ الْكَاذِبُ، وَكُذِّبَ الصَّادِقُ، وَكَثُرَ الْقَذْفُ، وَكَانَ الْمَطَرُ قَيْظًا، وَالْوَلَدُ غَيْظًا، وَفَاضَ اللِّئَامُ فَيْضًا، وَغَاضَ الْكِرَامُ غَيْضًا، وَكَانَ الْأُمَرَاءُ فَجَرَةً، وَالْوُزَرَاءُ كَذِبَةً، وَالْأُمَنَاءُ خَوَنَةً، وَالْعُرْفَاءُ ظَلَمَةً، وَالْقُرَّاءُ فَسَقَةً، وَإِذَا لَبِسُوا مُسُوكَ الضَّأْنِ، قُلُوبُهُمْ أَنْتَنُ مِنَ الْجِيفَةِ، وَأَمَرُّ مِنَ الصَّبْرِ، يُغَشِّيهِمُ اللهُ فِتْنَةً يَتَهَاوَكُونَ فِيهَا تَهَاوُكَ الْيَهُودِ الظَّلَمَةِ، وَتَظْهَرُ الصَّفْرَاءُ- يعني الدنانير-، وَتُطْلَبُ الْبَيْضَاءُ- يعني الدراهم-، وَتَكْثُرُ الْخَطَايَا، وَتَغُلُّ الْأُمَرَاءُ، وَحُلِّيَتِ الْمَصَاحِفُ، وَصُوِّرَتِ الْمَسَاجِدُ، وَطُوِّلَتِ الْمَنَائِرُ، وَخُرِّبَتِ الْقُلُوبُ، وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ، وَعُطِّلَتِ الْحُدُودُ، وَوَلَدَتِ الْأَمَةُ رَبَّتَهَا، وَتَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ وَقَدْ صَارُوا مُلُوكًا، وَشَارَكَتِ الْمَرْأَةُ زَوْجَهَا فِي التِّجَارَةِ، وَتَشَبَّهَ الرِّجَالُ بِالنِّسَاءِ وَالنِّسَاءُ بِالرِّجَالِ، وَحُلِفَ بِاللهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُسْتَحْلَفَ، وَشَهِدَ الْمَرْءُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُسْتَشْهَدَ، وَسُلِّمَ لِلْمَعْرِفَةِ، وَتُفِقِّهَ لِغَيْرِ الدِّينِ، وَطُلِبَتِ الدُّنْيَا بِعَمَلِ الْآخِرَةِ، وَاتُّخِذَ الْمَغْنَمُ دُوَلًا، وَالْأَمَانَةُ مَغْنَمًا، وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا، وَكَانَ زَعِيمُ الْقَوْمِ أَرْذَلَهُمْ، وَعَقَّ الرَّجُلُ أَبَاهُ وَجَفَا أُمَّهُ، وَبَرَّ صَدِيقَهُ وَأَطَاعَ زَوْجَتَهُ، وَعَلَتْ أَصْوَاتُ الْفَسَقَةِ فِي الْمَسَاجِدِ، وَاتُّخِذَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ، وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ فِي الطُّرُقِ، وَاتُّخِذَ الظُّلْمُ فَخْرًا، وَبِيعَ الْحُكْمُ، وَكَثُرَتِ الشُّرَطُ، وَاتُّخِذَ الْقُرْآنُ مَزَامِيرَ، وَجُلُودُ السِّبَاعِ صِفَاقًا، وَالْمَسَاجِدُ طُرُقًا، وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَوَّلَهَا فَلْيَتَّقُوا عِنْدَ ذَلِكَ: رِيحًا حَمْرَاءَ، وَخَسْفًا، وَمَسْخًا، وَآيَاتٍ

( সূত্রঃ★ হিলয়াতুল আউলিয়া ওয়া তাবাকাতুল আসফিয়া ,কৃতঃ ইমাম আবূ নুআইম ইস্পাহানী, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা নং ৩৫৮ ও ৩৫৯ )

✔✔ বিঃ দ্রঃ হাদীসে বর্ণিত আলামত বা নিদর্শনসমূহ সিহাহ সিত্তাহর বিভিন্ন হাদীস দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত ৷

۞۞۞۞۞۞۞

【উল্লেখ্য” কানযুল উম্মাল”- এ ইমাম আবুল হাসান আলাউদ্দীন আলী আল মুত্তাকী আল হিন্দী ৩৯৬৩৯ নং হাদীসে উল্লেখিত আলামত সমূহের সাথে আরো কয়েকটি আলামত বর্ণনা করেছেন ৷ তা হচ্ছে,
১❗কবীরা গুনাহকে হালাল মনে করবে,
২❗আলিম ও ফকীহ হ্রাস পাবে কিন্তু ক্বারী বৃদ্ধি পাবে,
৩❗মাস অর্থাৎ সময় সংকুচিত হয়ে যাবে,
৪❗অঙ্গীকার ভঙ্গ করা হবে,
৫❗দেশের শাসন ক্ষমতা উত্তরাধীকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদে পরিণত হবে,
৬❗যিনা- ব্যভিচার বৃদ্ধি পাবে,
৭❗মানুষকে অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য সন্মান করা হবে,
৮❗জাহিলরা মিম্বরে আরোহন করবে,
৯❗নারী ও পুরুষ সমকামী হবে,
১০❗মিম্বারে খতীবের সংখ্যা বেড়ে যাবে,
১১❗আলিমরা শাসকের অনুগত হবে; তাদের মর্জি মোতাবেক হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম করবে ৷ তারা যেভাবে চাইবে সেভাবে ফতওয়া দিবে,
১২❗ জুয়ার প্রচলন হবে ইত্যাদী ৷】