গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি জনগণের সঙ্গে জুলুম : ন্যাপ

    0
    14

    করোনা সংক্রমণ রোধে গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রাখা এবং ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও জনগণের সঙ্গে জুলুম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

    মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন বাস ভাড়া বৃদ্ধির এই প্রস্তাব ‘অগ্রহণযোগ্য’।

    ন্যাপ বাংলাদেশের এই প্রধান দুই নেতা বিবৃতিতে বলেন, এমনিতেই গত এক বছরে করোনার কারণে দেশের অধিকাংশ জনগণের আয়ের সংস্থান নেই। এমন পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে গণপরিবহনের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য বাড়তি ভাড়া যাত্রীদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

    নেতৃদ্বয় বলেন, প্রতিটি বাসে ৫০ শতাংশ সিট খালি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই অবস্থায় বাস মালিকদের যেন আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে না হয় সেজন্য সরকার অন্যান্য শিল্প-বাণিজ্যের মতো গণপরিবহনের জন্যও আর্থিক প্রণোদনা বা ভর্তুকি এবং স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা নিতে পারে। তা না করে ভাড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে চাপের মুখে ফেলা উপরন্তু মরার ওপর খাড়ার ঘা।

    বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে জ্বালানি তেলের দাম কমানো সম্ভব বলে মন্তব্য করে তারা বলেন, এতে করে সামাজিক দূরত্বের কৌশল চলাকালেও বাসের বিদ্যমান ভাড়া আরও কমানো যাবে। বিগত কয়েক দশকের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বিশ্বে এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। তাই বিশ্ব বাজারের সঙ্গে দেশের জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হলে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করার আদৌ প্রয়োজন হবে না। বরং পরিবহন ভাড়া কমানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে। এই দুর্যোগকালে বাস ভাড়া বৃদ্ধির বাড়তি চাপ জনগণের ওপর যেন কোনোভাবেই না পড়ে সেজন্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

    তেলের দাম কমানোর পাশাপাশি গণপরিবহনে প্রচলিত চাঁদাবাজি রোধ করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বলেন, রাজধানীতে চলাচলকারী প্রতিটি বাস-মিনিবাসকে দৈনিক গড়ে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা, কোথাও ২০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। প্রতিটি লেগুনা দৈনিক গড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা চাঁদা দিয়ে চালাতে হয়। ইতোমধ্যেই এসব সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে।

    নেতৃদ্বয় বলেন, মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে এ অবস্থার মধ্যে কোনো অবস্থাতেই বাসের ভাড়া বাড়ানো ঠিক না। এই সংকটের মধ্যে বাসের ভাড়া আরও কমানো দরকার। পৃথিবীতে সব দেশেই হয়, গণপরিবহনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও ভাড়া কমানো দরকার।