চট্টগ্রামের ১১ এলাকা রেড জোন, লকডাউন কবে জানে না কেউ

    0
    168

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চট্টগ্রামের ১০টি ওয়ার্ডের ১১টি এলাকাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও লকডাউনের কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসেনি। এতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ অনেকটা অন্ধকারে। তবে সমস্যা থেকে উত্তোরণে সবগুলো সংস্থার সমন্বয়ের তাগিদ চিকিৎসকদের। কখন থেকে চিহ্নিত রেডজোনগুলোতে লকডাউন কার্যকর হবে তা কারো জানা নেই। সাধারণ মানুষেরও যেমন এ নিয়ে কোনো ধারণা নেই, তেমনি কিছু বলতে পারছে না জনপ্রতিনিধিরাও।কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ১০ নং ওয়ার্ড কালকে থেকে লকডাউন হবে অফিসিয়ালি জানলাম, বিস্তারিত পরে আসতে পারে।ঘোষিত লকডাউনের বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন শিল্প এলাকা। বিশেষ করে বন্দর এবং পতেঙ্গার রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত ৩টি ওয়ার্ডের এলাকায় ২টি ইপিজেডে কর্মরত রয়েছেন ৪ লাখের বেশি শ্রমিক। তাই এসব এলাকায় রেড জোন কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান বলেন, অতীতের মত যেমন লকডাউন আমরা পালন করেছি, একই লকডাউন যদি জোনেও পালন করি তবে তেমন কোন কাজ হবে বলে আমি মনে করি না।তবে এখন পর্যন্ত লিখিত নির্দেশনা না আসলেও লকডাউন বাস্তবায়নে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পুলিশ। আর সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের কথা বলছেন চিকিৎসকরা।উপ-কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, চট্টগ্রামের ১১টি এলাকাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। বাকিগুলো লকডাউন কখন, কবে হবে তা এখনও নির্দেশনা পাইনি।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডীন ডা. সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, সরকার যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন তার জন্য সকল প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা করতে হবে।সিটি কপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে ১০ নম্বর কাট্টলী ওয়ার্ড লকডাউন কার্যকর হবে। বাকি ৯টি ওয়ার্ড পর্যায়ক্রমে ২০ জুন থেকে কার্যকরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।