চট্টগ্রামে কারাবন্দীদের করোনা মোকাবিলায় কারাপরিদর্শক ইয়াছিন আরাফাত কচি’র মার্স্ক বিতরণ

    0
    281

    সেলিম চৌধুরীঃ- সিএনএন বাংলাদেশ ::
    বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস আতংকে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের বন্দীরাও আতংকিত।
    এই অবস্থায় চট্টগ্রাম কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন বেসরকারি – কারা পরিদর্শক সহ সমাজের বিত্তশালীদের আহবান জানান কারাবন্দীদের পাশ্বে দাঁড়ানোর জন্য, এ আহবানে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও বেসরকারি কারা- পরিদর্শক ইয়াছিন আরাফাত কচি বন্দীদের জন্য ২০০০ মার্স্ক নিয়ে ছুটে যান কারাগারে। বন্দীদের মাঝে বিতরণের জন্য হস্তান্তর করেন সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন এর হাতে।
    এ-সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নেতা এডভোকেট সেলিম চৌধুরী, ডেপুটি জেল সুপার মোঃ মাজাহার, সহকারী জেল সুপার ফেরদৌস বেগম।
    সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন জানান,
    চট্টগ্রাম কারাগারে ধারন ক্ষমতার বাইরে নিয়মিত ৭৫০০ এর মত বন্দী থাকলেও প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন বন্দী, দিন দিন বাড়ছে বন্দীর সংখ্যা। যদিও নতুন বন্দীদের পৃথক ওয়ার্ডে কোয়ারান্টাইনে রাখা ব্যবস্হা করা হয়েছে তার পরও নতুন বন্দী আসলে অন্যান্য বন্দীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এবং অন্যান্য বন্দীদের মাঝে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থেকেই যায়।
    কারন তারা সবসময় একজনের সাথে একজন ঘেঁষাঘেষী করে থাকতে হয়। একজনের নিঃশ্বাস অন্যের মুখে এসে লাগে। এদের জন্য মার্স্ক ব্যবহার অতন্ত্য জরুরী।
    এ ব্যপারে জানতে চাইলে বেসরকারি কারা পরিদর্শক ইয়াছিন আরাফাত কচি বলেন। কারাগারে ধারন ক্ষমতার চাইতে অনেক বেশী বন্দী আছে, এক রুমে গাদাগাদি করে অনেক-কে থাকতে হয়, সংগত কারনে তারা এখানে সবচেয়ে বেশি করোনা আতংকে থাকে, তাই এদের জন্য আমাদের নেতা শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল এর পক্ষে আমি কিছু মার্স্ক দিয়েছি যাতে বন্দীরা ব্যাবহার করে নিজেকে কিছুটা হলেও হেফাজত করতে পারে।