চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা: আদালতে ভোলার স্বীকারোক্তি

0
52

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম  মো. শফি উদ্দিনের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ভোলাকে আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন উনি।

তবে ভোলা কী বলেছেন, সে সম্পর্কে কিছু জানাননি এসপি নাইমা সুলতানা। জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভোলাকে এদিনই চট্টগ্রামে আনা হয়। চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, নিহতের বাবার করা মামলার আসামি ভোলা। তাকে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি।

গত ১৪ অক্টোবর মিতু হত্যা মামলায় ভোলার জামিন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করতে সময়ের আবেদন করেছিলেন তিনি।গত ১৫ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন পান ভোলা। মেয়াদ শেষ হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি।

২০১৬ সালের ৫ জুন বন্দরনগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়। ওই সময় তার স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল ছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন তিনি।

জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমে অংশ নেয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন বাবুল। তবে দিন গড়ানোর সঙ্গে মামলার গতিপথ পাল্টে যায়। এক পর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন তিনিই। তদন্তে তার বিরুদ্ধে হত্যার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ মে তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই।

পরদিন পুলিশ সুপার বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করে তারা। এতে ভোলাকেও আসামি করা হয়। মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার কথা থাকলেও দেননি তিনি। পরে তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়।