চীন থেকে টিকার ‘বড় চালান’ আসছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    0
    11

    চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আগামী জুন মাস থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে তিন চালানে সিনোফার্মের টিকা দেশে আসবে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকেও বাংলাদেশের জন্য করোনা ভাইরাসের টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে। কোভ্যাক্স থেকে টিকা দ্রুত সময়ে আসার আশ্বাস মিলেছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মঙ্গলবার (২৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভোলকান ভজকির। স্বল্প আয়ের দেশের করোনা টিকার বঞ্চনাকে বিশ্বের ভয়াবহ পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করেন ভোলকান ভজকির। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সবার জন্য টিকা সহজলভ্য না হলে বিশ্বের কোনো দেশই করোনার মতো মহামারি থেকে নিরাপদ নয়। মঙ্গলবার (২৫ মে) ঢাকায় দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এসে করোনা টিকার এই বঞ্চনার কথা আবারো জোরালোভাবে তুলে ধরেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভোলকান ভজকির। তিনি জানান, কোনো দেশ তাদের সব নাগরিককে টিকা দিয়ে দিয়েছে। আর বিপদে পড়া দেশগুলোর মাত্র শূন্য দশমিক তিন শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে।বিশ্ব পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে ভোলকান ভজকির বলেন, করোনার জন্য ভ্যাকসিন তৈরি, সরবরাহের ক্ষেত্রে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখনো ভ্যাকসিন সমানভাবে সব দেশে বা মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেক দেশেই প্রথম ডোজ দেয়ার পরে, দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছেন না। যে দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি টিকার প্রয়োজন হচ্ছে তারাই টিকা সবচেয়ে কম পাচ্ছে। কারণ তারা উৎপাদক দেশ নয় বলে।জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি বলেন, সবার জন্য টিকা সহজলভ্য না হলে বিশ্বের কোনো দেশই করোনার মতো মহামারি থেকে নিরাপদ নয়। জাতিসংঘের কোভ্যাক্স সুবিধার কথা তুলে ধরে দ্রুত এর ফলাফল আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।ভজকির বলেন, জাতিসংঘের ৭৫তম অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে ‘সবার জন্য টিকা’ ক্যাম্পেইন নিয়ে কাজ করছি। সব দেশের প্রয়োজনে যেন সমানভাবে সবাই করোনার টিকা পেতে পারে, এজন্য বন্টন ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কোভ্যাক্স সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। সুখবর হলো, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে যাচ্ছে। ফলে, শুধু নিজেদের কথা চিন্তা না ধনী দেশগুলো উপর এখন জোর দিতে পারবো বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।