টিপু হত্যার নির্দেশদাতা মুসাকে নিয়ে দেশের পথে পুলিশ 

    0
    36

    রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা সুমন শিকদার মুসা ওরফে শুটার মুসাকে গ্রেপ্তার করে তাকে নিয়ে দেশের পথে পুলিশের একটি দল।

    বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সকাল ১১টার দিকে মুসাকে নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে পুলিশের ওই দলটির। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন কর্মকর্তা সকাল ৯টার দিকে প্রতিবেদককে জানায়, মুসাকে নিয়ে তারা বাংলাদেশ বিমানের ফিরতি ফ্লাইটে চড়েছেন।

    গত ৮ মে দুবাই থেকে ওমান যান শুটার মুসা। সেখানে সালালাতে আইয়ুব নবীর মাজার জিয়ারত করে দুবাই ফেরার পথে ১২ মে ওমান ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হন তিনি।

    পরে মুসাকে দেশের ফেরত আনতে গত সোমবার (৬ জুন) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান রিপন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন ওমানের রাজধানী মাসকাটে যান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

    আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু কিলিং অপারেশনের ১২ দিন আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে পালান মুসা। এরপর বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশ থেকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। মুসা প্রথমে দুবাই গেলেও পরে সেখান থেকে ওমান পালিয়ে যান। এরপর ওমানের সঙ্গে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে বাংলাদেশ।

    জানা যায়, রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলিতে নিহত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে দুবাই বসে হত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেন সুমন শিকদার ওরফে মুসা। টিপু হত্যাকাণ্ডের ঠিক ১২ দিন আগে দুবাই চলে যান মুসা। দুবাই বসে হত্যার পুরো ছক কষেন তিনি। টিপুকে হত্যায় চুক্তি হয় ১৫ লাখ টাকা। এই ১৫ লাখ টাকা কে কত দেবে তাও ভাগ করে দেন মুসা। নয় লাখ টাকা দেন ওমর ফারুক। অবশিষ্ট ছয় লাখ টাকা দেন গ্রেফতার নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ ও মুসা। দুবাই যাওয়ার আগে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যান মুসা, হুন্ডির মাধ্যমে আরও চার লাখ টাকা মুসাকে দেওয়া হয়। বাকি ছয় লাখ টাকা দেশে হস্তান্তর করার চুক্তি হয়। ছয় লাখের মধ্যে র‍্যাব গ্রেফতারের সময় তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা জব্দ করে। দুবাই থাকা মুসা ২০১৬ সালে রিজভী হাসান হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত ৩ নম্বর আসামি।