তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সমালোচনায় রিজভী

    0
    39

    তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের সম্প্রতি দেওয়া বক্তব্যে দেশে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শনিবার (১৬ অক্টোর) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

    ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

    রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছেন বিশ্ববেহায়া এরশাদ। এরশাদ কার লোক? বিশ্ববেহায়া এরশাদ তো শেখ হাসিনার সার্টিফাইড বন্ধু। সরকারের অপকর্ম ঢাকার জন্য আগে বেফাঁস কথাবার্তার প্রতিযোগিতা ছিল ওবায়দুল কাদের এবং হাসান মাহমুদের মধ্যে। তাদেরকে এখন টপকাতে চান এই অবৈধ তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।

    তিনি বলেন, ইসলামধর্ম নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্যের পরে ঘটনা ঘটলো কুমিল্লায়, এরপরে সারাদেশে টেনশন, উত্তেজনা, রক্তপাত, পুলিশ গুলি চালাচ্ছে। গতকাল চৌমুহনীতে উত্তেজনা বিরাজ করেছে। আজ ১৪৪ জারি করেছে। কেন এই পরিস্থিতি? ওই যে মুরাদ যে বক্তব্য রেখেছে তারপরেই এই ঘটনা। এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সরকারের সকল অপকর্ম, সকল জনবিরোধী কর্ম, রক্তপাত গুম-খুন সবকিছু আড়াল করার জন্য এবং দ্রব্যমূল্য যে বাড়তি, সেগুলো আড়াল করার জন্য এসব ঘটনা। সরকারের এজেন্সির যে নীলনকশা, সেই নীলনকশারই একটা অংশ কুমিল্লার ঘটনা।

    রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছেন বিশ্ববেহায়া এরশাদ। এরশাদ কার লোক? বিশ্ববেহায়া এরশাদ তো শেখ হাসিনার সার্টিফাইড বন্ধু। সরকারের অপকর্ম ঢাকার জন্য আগে বেফাঁস কথাবার্তার প্রতিযোগিতা ছিল ওবায়দুল কাদের এবং হাসান মাহমুদের মধ্যে। তাদেরকে এখন টপকাতে চান এই অবৈধ তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।

    তিনি বলেন, ইসলামধর্ম নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্যের পরে ঘটনা ঘটলো কুমিল্লায়, এরপরে সারাদেশে টেনশন, উত্তেজনা, রক্তপাত, পুলিশ গুলি চালাচ্ছে। গতকাল চৌমুহনীতে উত্তেজনা বিরাজ করেছে। আজ ১৪৪ জারি করেছে। কেন এই পরিস্থিতি? ওই যে মুরাদ যে বক্তব্য রেখেছে তারপরেই এই ঘটনা। এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সরকারের সকল অপকর্ম, সকল জনবিরোধী কর্ম, রক্তপাত গুম-খুন সবকিছু আড়াল করার জন্য এবং দ্রব্যমূল্য যে বাড়তি, সেগুলো আড়াল করার জন্য এসব ঘটনা। সরকারের এজেন্সির যে নীলনকশা, সেই নীলনকশারই একটা অংশ কুমিল্লার ঘটনা।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, আপনি নাকি দেশের জনগণকে নিরাপত্তা দেন। তাহলে আজ কেন এই দেশের জনগোষ্ঠীর কোনো নিরাপত্তা নাই?

    তিনি বলে, এদেশের কোনো মুসলিম-হিন্দু এই ঘটনা ঘটাবে না, এটা আমার বিশ্বাস হয় না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনের দেশ বাংলাদেশ। সেখানে আপনার আমলেই রামু, উখিয়া, টাঙ্গাইল, পাবনায় হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হয়েছে এবং তাদের সম্পত্তি লুট করা হয়েছে। বিএনপি ১৯৯১, ২০০১ সালে ক্ষমতায় ছিল। তখন তো কোনো মন্দিরে হামলা হয় নাই। তাদের ধন-সম্পত্তি লুট হয় নাই।

    রিজভী বলেন, চরম দুর্দিনের দিকে দেশকে ঠেলে দিচ্ছেন শেখ হাসিনা নিজের অবৈধ সত্তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। আর প্রভুদের খুশি রাখার জন্য। আর প্রভুদের দেখাচ্ছেন আমি ছাড়া এসবের মোকাবিলা কেউ করতে না।

    তিনি বলেন, আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস। উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। যদি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় তাহলে প্রতিবছর ১৯৪০ লাখ টন খাদ্য কেন আমদানি করতে হয়? ৪৭ লাখ টন খাদ্য বিনষ্ট হয়? কারণ লুটপাটের সরকার তাদের লোক দিয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়। আর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এই অবদান জিয়াউর রহমানের, বেগম খালেদা জিয়ার। তাই তিনি চেষ্টা করছেন কী করে জিয়াউর রহমান আর বেগম খালেদা জিয়ার সমকক্ষ হওয়া যায়। মানুষ খাদ্যের অভাবে নিজের সন্তানকে বিক্রি করছে এমন একটা পরিস্থিতি দেশে। আর আপনি বলছেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আজ খাদ্য দিবসে এ রকম টাটকা মিথ্যা কথা এই প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোভা পায়।

    রিজভী বলেন, আমরা একটা অরাজকতা, ঘোর অন্ধকার, দুর্ভিক্ষের মধ্যে বসবাস করছি। এ ধরনের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে একমাত্র জাতীয়তাবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে। যিনি এই মাটি-মানুষের সঙ্গে মিশে আছেন, তাকে তো ধবংস করা যায়নি। পারেনি তাদের আন্দোলনের ফসল মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন এবং শেখ হাসিনা। তাই মিথ্যা মামলা দিয়ে চিকিৎসা না দিয়ে বন্দী করে রেখে নানা ধরনের নির্যাতন করে যাচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে।

    খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আজও সংবাদপত্রের দেখলাম তার জ্বর কমেনি এবং মুখে রুচি নেই। তার ইচ্ছামতো তিনি চিকিৎসা নিতে পারেন না। কিন্তু শেখ হাসিনা যখন কারাগারে ছিলেন তার ইচ্ছামতো তিনি স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই সরকার শুধু নিষ্ঠুর সরকার নয়, একটা নেকড়ে সরকার।

    আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস,সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য দেন।