তিতাসের গাফিলতি: মসজিদের গ্যাস লাইনে অসংখ্য লিকেজ

    0
    80

    লাইনের লিকেজ থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে জমে থাকা গ্যাসই কাল হলো নারায়ণগঞ্জে। সদর উপজেলার বাইতুস সালাত মসজিদটির ভেতরে খোঁজ মিলেছে গ্যাস লাইনের অসংখ্য লিকেজের। ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে অনেকটাই পরিষ্কার বিস্ফোরণের কারণ। শুধুমাত্র গাফিলতির কারণেই এতো বড় দুর্ঘটনা। এ প্রশ্নই এখন সামনে চলে এসেছে। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদটি এখন বিধ্বস্ত। পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। পুড়ে গেছে জায়নামাজ, পড়ে আছে তসবিহ। যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে হতভাগ্য মুসল্লীদের নানা সামগ্রী। আগুনে পুড়ে যাওয়া চশমা৷ পকেটের টাকা জানান দিচ্ছে কয়েক ঘণ্টা আগেও এখানে সবকিছুই স্বাভাবিক ছিলো।ফ্যানগুলো বেঁকে গেছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে। দুমড়েমুচড়ে গেছে সবকটি এসি। জানালার কাচ ছড়িয়ে আছে ফ্লোরময়।শুক্রবার এশার নামাজ পড়ার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় মসজিদটির সবকটি এসি। মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে যায় সবকিছু। পুড়ে যান মসজিদের ভেতরে থাকা অন্তত ৪০ জন মুসল্লি।একজন মুসল্লি বলেন, ‘দরজা ধাক্কায় খোলে না। পরে লাথি দিয়ে ভেঙ্গে বের হইছি।’বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরও বিধ্বস্ত মসজিদের ফ্লোর থেকে বুদবুদ বের হতে দেখা যায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেকদিন ধরেই এই মসজিদের নিচে তিতাসের লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হবার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করেও কোন পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, তিতাসকে অভিযোগ করা সত্ত্বেও তারা গুরুত্ব দেয়নি। আজকে তাদের অবহেলা জন্য এই অবস্থা।আরও পড়ুন: হঠাৎ ধ্বংসস্তুপে পরিণত মসজিদ, পুড়ে গেছে জায়নামাজ পড়ে আছে তসবিহদুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিস, সিআইডি ও প্রশাসনের লোকজন। যান্ত্রিক পরীক্ষার পর ফায়ার সার্ভিস জানায় মসজিদটি ছিলো মিথেন গ্যাসে পরিপূর্ণ।এতো বড় দুর্ঘটনার পর টনক নড়ে তিতাসের। লিকেজ সারাতে শ্রমিক পাঠায় তারা। তবে ততক্ষণে যা হবার তা হয়ে গেছে।অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে মসজিদটিতে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ সদস্যরা