তিনদিন নেট না থাকলে দিতে হবে না বিল, একদিনে অর্ধেক

    0
    32

    ব্রডব্রান্ড ইন্টারনেট সেবা নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টানা তিন দিন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকলে গ্রাহকদের কাছ থেকে ওই মাসে কোনো বিল পাবে না ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। 

    গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিআরটিসির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা সব ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) কাছে পাঠানো হয়।

    নির্দেশনায় বলা হয়, টানা এক দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে গ্রাহকের কাছ থেকে ওই মাসে মোট বিলের ৫০ শতাংশ নেওয়া যাবে। যদি টানা দুই দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকে তাহলে গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসিক বিলের ২৫ শতাংশ অর্থ নিতে হবে। এছাড়া ইন্টারনেট সেবা তিন দিন বন্ধ থাকলে ওই মাসে কোনো টাকাই নেওয়া যাবে না।

    গতকাল ৬ অক্টোবর ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সেবামূল্য ঘোষণা করার পর এবার সেবার মানদণ্ড জানানো হলো।

    এই কর্মসূচির আওতায় গত জুনে ব্রডব্রান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করে বিটিআরসি। এতে ৫০০ টাকায় রাখা হয়েছে ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট সুবিধা, ৮০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস এবং ১ হাজার ২০০ টাকায় ২০ এমবিপিএস। 

    ঢাকা মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে একই মূল্যে ইন্টারনেট দিতে হবে। এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ভাগাভাগির (১:৮) ব্যান্ডউইডথের ক্ষেত্রে।বিটিআরসি নতুন নির্দেশনায় বলেছে, গতি সর্বনিম্ন ৫ এমবিপিএস রেখে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে। নতুন প্যাকেজের ক্ষেত্রে বিটিআরসির অনুমোদন নিতে হবে। এর বাইরে কোনো প্যাকেজ দিলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে। অনুমোদিত সেবামূল্য আইএসপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

    বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, গত আগস্ট শেষে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৫০ হাজার। করোনাকালে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। 

    বিটিআরসি নতুন নির্দেশনা সম্পর্কে ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

    বিটিআরসির এই নির্দেশনা সম্পর্কে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, নতুন নির্দেশনা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে অনিবার্য কারণে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হলে কী হবে, সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট নির্দেশনার প্রয়োজন।