পদ্মা উৎসবের পুনর্মিলনী ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন।

    0
    9


    ঐ দেখা যায় পদ্মা সেতু, ঐ আমাদের মান। ঐ খানেতে গাও সবাই, বাংলাদেশের গান। প্রমত্ত পদ্মায় চোখ জুড়ে যায়, নতুন জীবনে সবাই, যায় ছুটে যায়। গত ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত এমনি সব পদ্মার গান,কবিতা, নৃত্যের আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিল শিশু কিশোরদের পদ্মা উৎসব। পদ্মা সেতু নিয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা দিয়ে শুরু এই উৎসবে জমজমাট হয়ে উঠেছিল চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণ ও হল। আজ ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই পদ্মা উৎসবে অংশগ্রহণকারী ও সংশ্লিষ্টদের পুনর্মিলনী ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠান।
    বাংলাদেশের প্রথম কমিউনিটি স্টুডিওর আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক। কমিউনিটি স্টুডিওর স্টার্ট আপ পরিচালক সরোয়ার আমিন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সমাজসেবক মাহফুজুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান জাহাঙ্গীর, দেশের সেরা রাঁধুনি খেতাব প্রাপ্ত বিশিষ্ট বিশিষ্ট রন্ধন শিল্পী জোবাইদা আশরাফ, সংগীত শিল্পী অনামিকা তালুকদার, শিক্ষাবিদ সাজ্জাদ উদ্দীন। অনুষ্ঠানের শুরুতে গৌরী ললিতকলা একাডেমির শিশু শিল্পীরা কবিতা, গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। তাদের সবাইকে আকর্ষণীয় উপহার ও সনদ পত্র প্রদান করা হয়।
    প্রধান অতিথি সৈয়দ উমর ফারুক তাঁর বক্তব্যে বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে এই ধরনের উদ্যোগ শিশু কিশোরদের দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ করছে। পদ্মা সেতু এখন আমাদের জাতীয় জীবনে বড় গৌরবের বিষয়। আজ পদ্মা নদী পাড় হওয়ার সময় সবার চোখ জুড়ে যায় ও আনন্দ মন ভরে উঠে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য কর্ম স্পৃহা ও সাহসীকতায় নির্মিত পদ্মা সেতু আজ নিরেট বাস্তবতা । এই পদ্মাসেতু বিশ্বে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে সম্মান ও মর্যাদার এক অনন্য উচ্চতায় ।
    তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ অবকাঠামোর একটি বড় উন্নয়ন মাইলফলক । কমিউনিটি স্টুডিওর এই উদ্যোগ শিশু কিশোরদের চিন্তা চেতনা, সৃজনশীলতা ও মননশীলতায় গভীর রেখাপাত করবে। আমি এই অসাধারণ উদ্যোগের জন্য আয়োজক কমিউনিটি স্টুডিওকে সাধুবাদ জানাই।
    বিশেষ অতিথি মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুর পর যে কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন হবে সেটা বাংলাদেশকে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এসবই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের একেকটি মাইলফলক।
    বিশিষ্ট রন্ধন শিল্পী জোবাইদা আশরাফ বলেন, হাজারো ইলিশের মাঝে পদ্মার ইলিশ হলো স্বাদে গুনে অনন্য। রয়েছে স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য। সেই পদ্মার ইলিশ রেসিপি নিয়ে চমৎকার একটি প্রদর্শনী হয়ে গেল এই উৎসবের মাঝে। বিশেষ করে পদ্মার ইলিশ রেসিপি প্রদর্শনী বিমোহিত করেছিল সবাইকে। চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন রন্ধন শিল্পী তাঁদের বাসা থেকে ইলিশ মাছের বিভিন্ন রেসিপি রান্না করে এই প্রদর্শনীতে নিয়ে আসেন। প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া রেসিপিগুলো নিয়ে হয় প্রতিযোগিতা। তিনি আরো বলেন, পদ্মা উৎসবে এই ইলিশ রেসিপি প্রদর্শনী সত্যি অসাধারণ। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। কিন্তু স্বাদে গুনে পদ্মার ইলিশের রয়েছে আলাদা পরিচয়। বিদেশেও এই পদ্মার ইলিশের রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা। এই রূপালী ইলিশের রয়েছে মন মাতানো সুগন্ধ। চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন গৃহিণী তাদের রান্না করা রেসিপিগুলো নিয়ে এসেছে। তাঁরা সবাই এত ভাল রান্না করতে পারে, দেখে খুবই ভাল লেগেছিল । প্রতিটির স্বাদ ও স্মার্ট পরিবেশনা দেখে আমি মুগ্ধ। রন্ধন একটি শিল্প। পদ্মা উৎসবে এই সুন্দর আইডিয়াটি যোগ করায় আমি ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই আয়োজক কমিউনিটি স্টুডিওকে।