পরশ-তাপসকে ডেকে নিয়ে ১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী 

0
13

১৫ আগস্টের নির্মম সেই হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে মঞ্চে বক্তৃতা করার সময় কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্যের শুরুতে দুইভাই শেখ ফজলে শামস পরশ এবং শেখ ফজলে নূর তাপসকে মঞ্চে ডেকে নেন তিনি। এসময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় এই দৃশ্য দেখা যায়।

১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায়। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে ঘটেছে। এসময় যুবলীগের চেয়ারম্যান পরশ এবং মেয়র তাপসকে কাছে ডেকে বলেন, ‘আয় এদিকে আয়।’

অনুসরণ করুন
মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার সময় পরশ এবং তাপস একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদেন। তখন তাদেরকে কাছে নিয়ে বলেন, ‘আজকে ওরা বড় হয়ে গেছে। পাঁচ বছরের পরশ। তিন বছরের তাপস। বাবা-মায়ের লাশ গুলি খেয়ে পড়ে আছে। দুটি বাচ্চা পাশে গিয়ে চিৎকার করছে। বাবা ওঠো, বাবা ওঠো। মা ওঠো, মা ওঠো। সাড়া দেয়নি।’

শেখ হাসিনা বলে, ‘আমার ফুফু বাড়িতে ফুফু গুলিবিদ্ধ। ফুফাতো দুইবোন গুলিবিদ্ধ। কী নিষ্ঠুর-নির্মম ঘটনা ঘটেছে, আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন। সেই হত্যাকাণ্ডের পর বিচার চাওয়ার কোনো অধিকার ছিল না আমাদের। মামলা করার অধিকার ছিল না। আমি আর রেহানা বিদেশে ছিলাম। সেজন্য বোধহয় বেঁচে গিয়েছিলাম। এই বাঁচা কী দুঃসহ বাঁচা, সেটা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানে।’

তিনি বলেন, আজকে অনেকের অনেক কথা শুনি, আমি এখন সরকারে আছি, মানবাধিকারের কথা শোনায় আমাদেরকে। মানবাধিকার নিয়ে আমাদের তত্ত্বজ্ঞান দেয়। তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল?

বিএনপির ক্ষমতার সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কী হয়েছিল ঢাকা শহরে, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, পানির জন্য হাহাকার। সারের জন্য মাঠে নামায় ১৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে গেলাম, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সে উৎপাদন কমিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তেল পাচার বন্ধ হওয়ায় লিটারে ৫ টাকা দাম কমানো হয়েছে।

আমরা কখনও ধার করে ঘি খাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের যে ঋণ তাতে আমরা কখনও কারো কাছে আটকে যাব না। বাংলাদেশ সেই অবস্থায় নেই।