পাগল সাজিয়ে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি, উদ্ধার করল পুলিশ

    0
    16

    ফিল্মি স্টাইলে জোর করে ব্যবসা দখল করতে দুষ্কৃতিকারীদের সহযোগিতায় প্রথম স্ত্রীর ছেলে তার বাবাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বাবাকে রাজধানীর বসিলার একটি অখ্যাত মানসিক রোগ হাসপাতাল ও রিহ্যাব সেন্টারে লুকিয়ে রাখে। বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ ফেসবুক পেজ’-এর ইনবক্সে ওই ব্যবসায়ীর মেয়ে ঘটনাটি জানালে ‘পাগল সাজানো’ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পাবনা জেলা পুলিশ।

    শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

    পুলিশ জানায়, পাবনা জেলা থেকে এক নারী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ ফেসবুক পেজ’-এর ইনবক্সে জানান, তার বাবাকে আগের ঘরের ছেলে ও বড় সন্তান কিছু দুষ্কৃতিকারীর সহযোগিতায় ১৫ দিন আগে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।

    ওই নারী আরও জানায়, তার বাবা পাবনা জেলায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে অনেক বছর আগেই ডিভোর্স হয়েছে। প্রথম সন্তানকে তিনি শুরু থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্থিক সাপোর্ট দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সেই ছেলে জোর করে বাবার ব্যবসা দখলের পাঁয়তারা করে। কোনো এক সুযোগে কিছু দুষ্কৃতিকারীর সহযোগিতায় প্রথম ঘরের ছেলে তার বাবাকে পথ থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।

    এরপর, তাকে রাজধানীর কোনও একটি বেসরকারি হাসপাতালে মানসিক রোগী হিসেবে ভর্তি করিয়ে রাখে ও এক প্রকার ফিল্মি স্টাইলে ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসা দখল করে নেয়।

    এদিকে, ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী ও পরিবার তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হয়। এক পর্যায়ে তারা বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও বার্তা পাঠিয়ে সহযোগিতা চায়। বার্তাটি দেখার পরপরই মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশনা দেয়।

    পাশাপাশি পাবনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলমকে এ বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তরিকুল ইসলামের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছিল মিডিয়া উইং। এরপর পাবনা জেলা পুলিশের সার্বিক তৎপরতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত করে।

    শুক্রবার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পাবনা জেলা পুলিশের একটি টিম রাজধানীর বসিলায় অবস্থিত একটি অখ্যাত মানসিক রোগ হাসপাতাল ও রিহ্যাব সেন্টার থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে তার স্ত্রী ও কন্যা সঙ্গে ছিলেন।

    মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং সার্বক্ষণিকভাবে ভিকটিমের পরিবার ও পাবনা জেলা পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়টি সমন্বয় করছিল। এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

    এআইজি সোহেল রানা জানান, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তর করতে কাজ করছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।