প্রতিবেশীর অনুরোধেও সাঈদের লাশ গ্রহণ করেননি বাবা

    0
    39

    হাজারো স্বপ্ন বুক ধারন করে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন মেধাবী ছাত্র সাঈদ। ইসলাম গ্রহণ করায় ছাড়তে হয়েছে বাড়ি ও বাবা-মাকে। কিন্তু এসে তাকে নিয়ে গেলে অসীম দূর অজানায়। ফলে সাঈদের হাজারো স্বপ্ন পুরন এখানেই থেমে গেল। 

    বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার তেজগাঁওয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনে কাটা পড়ে সাঈদ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

    ইসলাম গ্রহণ করায় কৈশোরে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন সাঈদ আবদুল্লাহ (২২)। তবে হাল ছাড়েননি তিনি। কক্সবাজারের চকরিয়া গ্রামার স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে ঢাকায় গিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। ছাত্র পড়িয়ে সেই টাকা দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতেন। এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে অপেক্ষায় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু ট্রেনে কাটা পড়ে অবসান হলো তার জীবন সংগ্রামের।
    সাঈদ আব্দুল্লাহ ছিলেন ঢাকা বিজ্ঞান কলেজের ছাত্র। তার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের হেতালিয়া পাড়ায়। তার নাম জুয়েল শীল। বাবার নাম বিধু কুমার শীল। সে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।

    বিষয়টি জানতে পেরে পরিবার তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং তার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে। সাঈদ এসএসসি পাস করে ঢাকায় গিয়ে তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়।

    সাঈদের মৃত্যুর খবর শুনে তার বাবা মাকে লাশ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী অনুরোধ করলেও তারা তা প্রত্যাখান করে। শেষ পর্যন্ত সহপাঠীরা তার দাশ দাফন করে।

    তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপুর্ব হাসান বলেন, সাঈদের লাশ তার বাবা গ্রহণ করবেন না বিষয়টি চকরিয়া থানার মাধ্যমে নিশ্চিত হই। পরে তারা সহপাঠীদের জিম্মায় হস্তান্তর করি।