প্রমাণ না দেখে ফাঁসির আদেশে হাইকোর্টের ক্ষোভ, নোয়াখালীতে জোড়া খুনে খালাস ৮

    0
    20

    ২০০৭ সালে নোয়াখালীতে ডাকাতিসহ মিরন ও সুমন হত্যা মামলায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে ৩ আসামির ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ৮ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

    এ সময় প্রমাণ খতিয়ে না দেখে এত ফাঁসির আদেশ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। ২০০৭ সালে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ী মিরন ও সুমন পালকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।

    পরে ২০১৬ সালে এই ঘটনায় বিচারিক আদালত ১২ জনকে ফাসির আদেশ দেন। হাইকোর্টে সে মামলায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে ৩ জনের ফাঁসির বহাল রাখা হয়।

    আদালত সূত্র জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে নোয়াখালী শহরের জামে মসজিদ মোড় এলাকার দোকান (মুঠোফোন বিক্রয়কেন্দ্র) বন্ধ করে দুই ভাই ফিরোজ কবির, সামছুল কবির এবং তাদের দোকানের কর্মচারী সুমন পাল বাসায় ফিরছিলেন। পথে নাপিতের পোল এলাকায় তারা ডাকাতের কবলে পড়েন।

    ডাকাতরা তাদের তিনজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সড়কের পাশে ফেলে দেন। তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, প্রি-পেইড কার্ডসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সুমন পালকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত ফিরোজ কবির ও সামছুল কবিরকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফিরোজ কবির।

    পরে নিহত ফিরোজ কবিরের বাবা আবু বকর ছিদ্দিক ২০০৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে সুধারাম থানায় মামলা করেন। এ ঘটনার ৯ বছর পর ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ ২ ভাইসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নোয়াখালীর দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং জরিমানাও দেন আদালত। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয় ১০ আসামিকে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আবু ইউছুফ ও তোফাজ্জল হোসেন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এই মামলার মোট আসামি ২৩ জন। তাদের মধ্যে সোলেমান উদ্দিন ওরফে জিসান নামের এক আসামি র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।