ফিলিস্তিনের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ও আল আকসার দখলমুক্তির দাবি ইসলামিক ফ্রন্টের মানববন্ধন

    0
    58


    এম.জাহিদ হাসান
    বোয়ালখালী প্রতিনিধি
    ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ নাসেরুল হক চিশতি বলেছেন-ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলের নৃশংসতা-নিষ্ঠুরতা সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলেও নির্লিপ্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। বোবা ও বধিরের ভূমিকায় জাতিসংঘ। নিরব দর্শক আরবলীগ এবং ওআইসি। দায়সারা গোছের নিন্দা-বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ এদের দায়িত্ব। যা বিশ্ব মুসলমানদের অবাঞ্ছিত হতাশায় নিপতিত করছে প্রতিনিয়ত।
    এম সোলায়মান ফরিদ বলেছেন-মুসলিম উম্মাহর কীর্তিমান তীর্থস্থান মসজিদুল আকসা কোনক্রমেই হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে না। আল্লাহ না করুক এক্ষেত্রে যদি কোনরূপ ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে আরবভূমিতে অবস্থিত পবিত্র মক্কা-মদিনার দিকে এ অপশক্তি আঙ্গুল তুললে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। তাই কারও পক্ষে আর অন্ধ-বধির হয়ে বসে থাকা কোনভাবেই সমীচীন হবে না। ফিলিস্তিন মানবিক বিপর্যয়ের শিকার। সুতরাং এ মূহুর্তে বিশ্ব বিবেকের জাগরণ আবশ্যক। এখন থেকেই বিশ্ব মুসলমানদের রক্তচোষা ইসরাইলের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে অদ্য ২২ মে ২০২১ইং শনিবার বিকেল ৪টায় কর্ণফুলী মইজ্জারটেক চত্বরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলীদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত “মানববন্ধনে” বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি স ম হামেদ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ নাসেরুল হক চিশতি। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী জসিম উদ্দিন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব এম সোলায়মান ফরিদ। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
    বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী। অধ্যাপক এম. শহীদুল্লাহ্ সাদা ও ছাত্রনেতা তৌহিদ মুরাদ সুমন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্ত
    জননেতা–স.ম. শহীদুল হক ফারুকী,
    মৌলানা ইলিয়াস সিকদার, মাস্টার আনোয়ারুল আজীম, খ. ম. মোজাম্মেল হক কাদেরী, এম. মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, মৌলানা ইদ্রিস আল কাদেরী, মাস্টার আইয়ুব আলী,আবু নোমান বাদশা, আবু তাহের দুলাল, এম. শাহেদুল আলম, মৌলানা ফারুখ, ফোরকান আশরাফী, আবুল মনছুর,
    ছাত্রনেতা– গিয়াস উদ্দিন জাহেদ, আবদু্ল্লাহ্ আল মুমিন, রেজাউল করিম, আবদুল্লাহ্ আল নোমান, সাইফুল ইসলাম তাহেরী, শিহাব উদ্দিন, মুনির উদ্দিন, বোরহান উদ্দিন, একরামুল হক ফরমান প্রমূখ।পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল কর্ণফুলির গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে পূনরায় মইজ্জ্যারটেক চত্বরে এসে শেষ হয়।