বিমানবন্দরে ২৮ নাবিককে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন হাদিসুরের দুই ভাই

    0
    22

    ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) মালিকানাধীন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৯ জনের মধ্যে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। এদিকে আজ বুধবার (০৯ মার্চ) দুপুরে বাকি ২৮ নাগরিক দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কান্না করতে করতে বিলাপ করেন হাদিসুরের ছোট ভাই।

    ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের ছোট ভাই কান্না করতে করতে বলেন, আমার ভাই কোথায়? আমার ভাইকে কোথায় রাখছেন? আমার ভাই কীভাবে মারা গেছে তা জানতে চাই আমি।

    বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, আগে আমার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে মরতে পারে না।

    এদিকে হাদিসুর রহমানের চাচাতো ভাই সোহাগ বলেন, আমার ভাই মরেনি। থানার মধ্যে তার মতো ভালো কোনো মানুষ নেই। কয়েক দিন আগেই তারে এয়ারপোর্ট থেকে বিদায় দিয়েছি আমরা। তার (হাদিসুর) বাবা-মাকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না।

    হাদিসুর রহমানের মরদেহের বিষয়ে সোহাগ বলেন, তারা (কর্তৃপক্ষ) শুধু তারিখ দিচ্ছে কিন্তু মরদেহ কখন আসবে তা বলছে না। এই পরিবারের কোনো খোঁজ খবরই নিচ্ছে না তারা। এমন একজন সন্তান হারিয়ে পরিবারের অবস্থা কী হতে পারে, তাদের সান্ত্বনা দেয়ার মতো কেউ নেই।

    তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের একটাই আবেদন, আমাদের ভাইকে যেন আমাদের কাছে ফেরত দেয়। তাকে যেন দেশের মাটিতে দাফন করতে পারি আমরা।

    জানা গেছে, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) মালিকানাধীন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। ভারতের মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল জাহাজটির।

    তবে এর মধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে অলভিয়া সমুদ্রবন্দরে ২৯ জন নাবিক নিয়ে জাহাজটি আটকে পড়ে। গত ২ মার্চ জাহাজটিতে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান।