বৃদ্ধা মাকে ৫ টুকরো করে ধানক্ষেতে ছড়িয়ে দেয় ছেলে

    0
    67

    ১৫ দিন পর নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বৃদ্ধাকে ৫ টুকরো করে হত্যার ঘটনার লোমহর্ষক রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত মামলার বাদী বৃদ্ধার ছেলে হুমায়ুন। তাকে সহযোগিতা করেছে তার এক কসাই বন্ধুসহ মোট ৭ জন।মায়ের জিম্মায় আনা সুদের টাকা পাওনাদারদের না দিয়ে বাঁচতে এবং পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাৎ করতেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।গত ৮ অক্টেবর ঘটনার পরের দিন সময় সংবাদের ক্যামেরার সামনে মায়ের হত্যার বিচার চেয়েছিলেন মামলার বাদী হুমায়ুন। অথচ সে-ই যে তার মায়ের হত্যাকারী তা তখনো কেউ ভাবতে পারেনি।মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় সাত সহযোগীসহ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি ছেলে জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন জানান, ঋণের টাকা শোধ করা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই সাত সহযোগীসহ প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে, পরে চাপাতি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মায়ের মরদেহ খন্ডিত করে বলে স্বীকারোক্তি দেন আসামি হুমায়ূন।চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েকজন সহযোগীর সাথে ছেলে মাকে খুন করে মরদেহ  ৫ টুকরা করে ধান ক্ষেতে ফেলে দেয়।’এঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা বাদী হয়ে নিহত বৃদ্ধার ছেলে হুমায়ুনকে প্রধান করে ৭ জনকে আসামি করে মামলা করে। এদের মধ্যে পাঁচজন গ্রেফতার রয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।গত ৭ অক্টোবর বুধবার রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানক্ষেত থেকে ৬০ বছরের নুরজাহান বেগমের পাঁচ টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।