বোয়ালখালীতে নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    0
    106

    চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে নিগার সুলতানা পুষ্পা (১৬) নামের এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করছেন। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে পুলিশ পুষ্পার লাশ উদ্ধার করে।

    নিহত নিগার সুলতানা পুষ্পা পৌরসভার পশ্চিম গোমদন্ডী ৭নম্বর ওয়ার্ড জংগা তালুকদার বাড়ির আহমদ মিয়ার কন্যা। সে শাকপুরা পাইলট প্রবর্ত্তক কণ্যা বিদ্যাপীঠের নবম শ্রেণির ছাত্রী। দুই মাস পূর্বে চরখিজিরপুর মহল্লার বাড়ির মো. হেলালের সাথে তার বিয়ে হয়। মো. হেলাল পটিয়ার পাঁচুরিয়া এলাকায় ওয়ালটন পণ্যের ব্যবসা করেন।

    নিহতের স্বামী মো. হেলাল জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিগার সুলতানা রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় নিগারের বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। বিকেল ৫টা দিকে দরজা ভেঙে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় নিগারকে পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    তবে বিষয়টি মানতে নারাজ নিহতের পরিবার। এনিয়ে হাসপাতালে দু’পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড বাদানুবাদও হয়। নিহতের মামা আবছার উদ্দিন জানান, এটি কখনও আত্মহত্যা হতে পারে না। ঝুলানো অবস্থা থেকে লাশ নামানোর সময় পা খাটের উপর ছিল। এছাড়া দরজা বন্ধ করে আমার ভাগনি ফাঁসি খেতে গেলে শ্বশুর বাড়ির কেউ কেন দরজা ভেঙে উদ্ধার করেনি? আমার পরিবারকে খবর দিয়ে লাশ উদ্ধারের মানে কি? তিনি বলেন, গত প্রায় ১মাস যাবৎ আমার ভাগিনি পুষ্পা অভিযোগ করে আসছিলো, তার স্বামী হেলালের সাথে হেলালের ভাবীর অবৈধ সর্ম্পক আছে। এটিতে বাধা দিতে গিয়ে বারংবার মনোমালিন্য হচ্ছিল। তিনি বলেন, এছাড়া লকডাউনে বিয়ে হওয়ার কারণে বরযাত্রী খাওয়ানো হয়নি এবং যৌতুক দেয়া হয়নি। যৌতুকের জন্যও একাধিকবার মেয়েকে চাপ দেয়া হয়েছিলো। এনিয়ে আমরা সর্বদা চাপে ছিলাম। 
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এসআই সাইফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় ফাঁসির চিহ্ন রয়েছে। একটা ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। তাতে দরজা ভেঙ্গে পুষ্পাকে উদ্ধারের দৃশ্য দেখা গেছে। তারপরও বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল করিম বলেন, ময়না তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাবে না। কাউকে আপাতত আটক করা হয়নি। আত্মহত্যা, আত্মহত্যার প্ররোচনা কিংবা হত্যাকান্ড-কোনটা ঘটেছিলো তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।