বোয়ালখালীতে পানির সংকট ভোগান্তিতে জনজীবন

    0
    40

    এম.জাহিদ হাসান (বোয়ালখালী)
    তীব্র তাপদাহে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বেশিরভাগ নলকূপে আর পানি উঠছে না। পুরো উপজেলা জুড়ে অকেজো হয়ে পড়ছে কয়েক হাজার নলকূপ।

    চরম দূর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। এদিকে প্রচন্ড তাপদাহে উপজেলার প্রায় এলাকার পুকুরের পানিও শুকিয়ে গেছে। ফলে রোজা ও করোনাকালে পানি সংগ্রহে কষ্ট বেড়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের।

    অন্যদিকে সেচযন্ত্রগুলোতে পানি না ওঠায় অনেক এলাকার বোরোচাষিরাও বিপাকে পড়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পুরো উপজেলার বাসিন্দারা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

    জানা গেছে উপজেলার কধুরখীল, পূর্ব গোমদন্ডী, পশ্চিম গোমদন্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, চরণদ্বীপ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের নলকূপে পানি না উঠায় পুুকুরের পানি দিয়ে চলছে দৈনন্দিন কার্যক্রম।

    দুই-একটি বাড়িতে ভ্যাটিক্যাল ও সাব-মারসিবল পাম্পের মাধ্যমে পানি তোলা হচ্ছে। সেই সব বাড়ীতে সুপেয় পানির জন্য লম্বা লাইন দিচ্ছেন এলাকাবাসী।

    বোয়ালখালী পৌর এলাকার মো. শফিউল আলম, কামাল, তন্ময় চক্রবর্তী জানান, গত ডিসেম্বর মাস থেকে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই সময় নলকূপে পানি দিয়ে পানি তোলা যেতো। এখন একেবারে অকেজো হয়ে পড়েছে নলকূপগুলো। আমাদের গভীর নলকূপ বসানোর অর্থ নেই।

    সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, নলকূপে পানি না পাওয়ায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অসহনীয় দূর্ভোগে পড়েছে গ্রামবাসী।

    বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র বলেন, নিজের ঘরেও পানি নেই। পৌর এলাকার পশ্চিম গোমদন্ডী ও পূর্ব গোমদন্ডীর কিছু অংশে পানি সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করে বলেন, বিভিন্ন মিল কারখানায় গভীর নলকূপ স্থাপন করায় এ সংকট দেখা দিয়েছে।

    এ বিষয়ে পৌরসভা থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা মিল কারখানা কর্তৃপক্ষ মানছেন না।

    উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সুদর্শী দেওয়ান জানান, বোয়ালখালীতে বেশিরভাগ এলাকায় গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। এ বছর ২২৬টি নলকূপ বরাদ্দ এসেছে। এর মধ্যে ২০০টি নলকূপ বসানো হয়েছে। আরো বরাদ্দ আসবে। পর্যায়ক্রমে তাও বসানো হবে।

    এ মূহুর্তে করণীয় সর্ম্পকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।