বোয়ালখালীতে লক ডাউন মানছে না ব্যাংকগুলোতে অপ্রত্যাশিত জনস্রোত

    0
    305

    জাহিদ হাসান বোয়ালখালী প্রতিনিধি ঃ-
    বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার গত ২৬ শে মার্চ থেকে সারাদেশ লকডাউন ঘোষণা করে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ মাঠে কাজ করছে।জন সমাগম রোধে হাট বাজার স্হানন্তর করে খোলা মাঠে বসানো হয়েছে।বোয়ালখালীর প্রবেশপথ কালুরঘাট সেতুতে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। নানান অজুহাতে প্রশাসনকে ফাঁকি ছুটছে চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন স্হানে। জনসমাগম রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার অাছিয়া খাতুন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)মোজাম্মেল হক চৌধুরী সময়ে অসময়ে বোয়ালখালী বিভিন্ন প্রান্তে টহল দিচ্ছেন। তারপরও জনসমাগম রোধ সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি নির্দেশনায় ব্যাংকগুলো সপ্তাহে দুই খোলা রাখায় অবস্থা আরও বেগতিক হয়ে পড়ে। যা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উৎস হতে পারে। সাপ্তাহিক বাজার গুলোতে জটলা লেগেই থাকে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বেরিয়ে পড়ছে মানুষ । বিকেলে তরুণ যুবা খেলার মাঠে খেলছে। সেনাবাহিনী অভিযান চালালে পালিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর আবারও মাঠে উপস্থিত হচ্ছে। গণ পরিবহন বন্ধ হলেও সি এন জি টেক্সী ও সি এন জি টেম্পু নেমপ্লেট লাগিয়ে অবাধে যাত্রী পরিবহন করছে। এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের পরিবার ছেড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি শুধু মানুষ ভাল রাখার জন্য কিন্তু তারা তা না বুঝে যত্রতত্র জনসমাগম সৃষ্টি করছে। জনসমাগম রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
    এদিকে জনসমাগম যেমন বাড়ছে তেমনি ভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বাড়ছে কিন্তুু এখনও পর্যন্ত মানুষ সচেতন হচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন থেকে সরকারি বেসরকারি দপ্তর থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। অভাব অসহায়ত্বের কথা শুনা মাত্রই ত্রাণের প্যাকেট নিয়ে ছুটছে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ তারপরও মানুষ ঘরে অবস্থান না করে বাইরে বের হচ্ছে। যা করোনা ভাইরাস ছড়ানো ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।