মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর তোপের মুখে ভারত। আনুষ্ঠানিক ক্ষমার দাবি করেছে সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ।
কুয়েতের বেশ কিছু সুপারশপ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ভারতীয় পণ্য। অনেক জায়গায় কাপড়ে ঢেকে আলাদা করে রাখা হচ্ছে। মহানবীকে নিয়ে ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির মুখপাত্রসহ দুই নেতার অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে এমন পদক্ষেপ দেশটির।
শুধু কুয়েতই নয়, ভারতের ওপর চটেছে ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, সৌদি আরব, পাকিস্তান, বাহরাইন, আরব আমিরাতসহ মুসলিম প্রধান দেশগুলো। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে কুয়েত, কাতার ও ইরান। এতে অর্থনৈতিকভাবে বেশ চাপে পড়েছে দিল্লি। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উঠেছে ভারতীয় পণ্য ও সিনেমা বর্জনের ডাক।
আরও পড়ুন: কে এই নূপুর শর্মা, যার বিতর্কিত বক্তব্যে উত্তাল মুসলিম বিশ্ব
কুয়েত আল আরদিয়া কো. অপারেশন সোসাইটির সিইও নাসের আল-মুতাইরি বলেন, একজন মুসলমান হিসেবে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি মেনে নিতে পারি না। ভারতীয় পণ্য তাই বয়কট করেছি। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরণের চাপে পড়তে যাচ্ছে ভারত।
অভিযুক্ত দুই নেতাকে অব্যাহতি দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। তবে ভারত সরকারকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কাতার। বাণিজ্য বাড়াতে কাতার সফরকালীন এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন ভারতীয় উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে ওআইসি’র কড়া সমালোচনা করল ভারত
নিজ দেশেও চাপের মুখে গেরুয়া শিবির। গত ৩রা জুন জুমার নামাজের পর উত্তরপ্রদেশে সহিংস বিক্ষোভে পুলিশসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৬ জনের বেশি। আন্দোলন হয়েছে মুম্বাইতেও। বিজেপিকে একহাত নিয়েছে প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসসহ অন্যরা।
উল্লেখ্য ভারতের আলোচিত জ্ঞানবাপী মসজিদ ইস্যুতে গত সপ্তাহে টিভি টকশোতে মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা। এর সমর্থনে টুইট করেন আরেক মুখপাত্র নাভিন কুমার জিন্দাল।