মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির ঘটনায় নূপুর, ওয়াইসিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা 

    0
    17

    মহানবী (সা.) এবং ইসলাম নিয়ে দু’জন বিজেপি নেতা আপত্তিকর মন্তব্য করার প্রায় দুই সপ্তাহ পর পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘৃণামূলক বক্তব্য, উস্কানি দেয়া এবং সমাজের শান্তি নষ্টের অভিযোগে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, বিজেপির বহিষ্কৃত দুই মুখপাত্র, একজন এমপি, একজন সাংবাদিক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী এবং কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যের বিরুদ্ধে দু’টি এজাহার দায়ের করেছে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।

    বিজেপির বহিষ্কৃত দুই মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং পার্টির দিল্লি মিডিয়া সেলের প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের আপত্তিকর এবং সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের কারণে কূটনৈতিক সংকটে পড়ে ভারত। এরপরই এমন পদক্ষেপ নিলো পুলিশ। একটি নিউজ চ্যানেলে টকশো চলাকালে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন নূপুর। আর ইসলামকে অবমাননা করে টুইট করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন নবীন।

    বিজেপি নেত্রী নূপুরের সমর্থনে এগিয়ে এলেন মহানবী (সা.) বিদ্বেষী গির্ট উইল্ডার্স

    এজাহারে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) প্রধান এবং সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এবং হরিদ্বারে বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার মামলায় জামিনে থাকা বিদ্বেষী ইয়াতি নরসিংহানন্দের নামও উল্লেখ করেছে দিল্লি পুলিশ।

    এর আগে টিভি এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায়ই একই ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা দেয়ার ঘটনায় পুলিশকে দেরি করে পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। তাই ১৬টি মুসলিম দেশ ওই দু’জনের সমালোচনার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ায় নানা জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। একটি অভিযোগের ভিত্তিতে নাকি দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের সাইবার ইউনিট স্বতঃপ্রণোদিত বিবেচনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্লেষণের পর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এক টেলিভিশন টকশোয় নূপুর শর্মার করা সেই বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়িয়েছে। ভারতের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মুসলিম বিভিন্ন দেশও। চাপে পড়ে নূপুরকে দল থেকে বহিষ্কার করে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।

    এদিকে দল থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে নূপুর বলেন, তিনি ‘নিঃশর্তভাবে’ তার মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। তবে নিজের মন্তব্যের পেছনে একটা যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেন নূপুর। তার যুক্তি হচ্ছে, হিন্দুদের দেবতা শিবকে যেভাবে অনবরত অপমান আর অসম্মান করা হচ্ছিল, তার জবাব দিতে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন।