মা-মেয়েকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে টিকটক ভিডিও, মূল আসামি গ্রেপ্তার

    0
    17

    নোয়াখালীর হাতিয়ায় মা ও মেয়েকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও করে টিকটকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনার মূল হোতা মো. জিল্লুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগে শুক্রবার রাতে মো. জিল্লুরকে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়। 

    জানা যায়, চোর অপবাদ দিয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে কুসুম আক্তার (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রী ও তার মা ঝুমুর আক্তারকে (৩৮) দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনকারীরা ওই স্কুলছাত্রী ও তার মায়ের নাকে, কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণালংকার এবং ঘর থেকে নগদ টাকা নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। 

    এছাড়া নির্যাতনের সময় স্কুলছাত্রী ও তার মায়ের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টিকটকে ছেড়ে দিয়েছে নির্যাতনকারীরা, যা ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় গত বুধবার দুপুরে স্কুলছাত্রীর বাবা ইদ্রিস হাতিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি  বুড়িরচর ৫নং ওয়ার্ড রেহানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে জহির ও জিল্লুর রহমানদের। এসব ঘটনার জেরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বুড়িরচর শহীদ আলী আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী কুসুম আক্তার। এ সময় জিল্লুর তার লোকজন নিয়ে কুসুমকে আটক করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। কুসুমের চিৎকারে তার মা ঝুমুর এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে তাদের দুই জনকে ঘরের একটি পিলারের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে ওই নির্যাতনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে এবং তা দিয়ে টিকটক তৈরি করে নিজের আইডিতে আপলোড করে জিল্লুর রহমান। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

    হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, এ ঘটনায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুরকে প্রধান আসামি করে আরও অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। 
    মামলার পরপরই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে আসছিল তারা। এক পর্যায়ে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।