মুক্তিপণ আদায়: ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের ১২ বছরের কারাদণ্ড 

0
11

ব্যবসায়িকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় করা মামলায় কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিস্কৃত সাত সদস্যকে পৃথক ধারায় ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় দেন।

এক ধারায় পাঁচ বছর, আরেক ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দিলেও উভয় সাজা একসঙ্গে কার্যকর হয়ে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। ৩৬৫ ধারায় পাঁচ বছর এবং ৩৮৬ ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে হবে। ফলে সাজা সাত বছর বলে গণ্য হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারের’ভয় দেখিয়ে স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। একপর্যায়ে ১৭ লাখ টাকায় দিতে রাজি হয় পরিবার। টাকা পেয়ে পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি গফুরের স্বজনেরা সড়কে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তাচৌকির কর্মকর্তাকে জানান। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সেনাবাহিনীর এ নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছিল।

মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি পুলিশের সদস্যরা মাইক্রোবাস নিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে ফেরার পথে চৌকির সেনাসদস্যরা মাইক্রোবাস তল্লাশি করলে ১৭ লাখ টাকা পান। এ সময় ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালালেও বাকি ছয়জনকে আটক করে সেনা সদস্যরা।

পিপি জানান, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদি হয়ে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজমকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা করেন।