মুসলিম হওয়ায় মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ, তদন্তের নির্দেশ বরিস জনসনের

    0
    18

    মুসলিম হওয়ার কারণেই মন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য নুসরত ঘানিকে।

    প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মন্ত্রিসভার একটি দপ্তরকে এই অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

    কনজারভেটিভ দলের এই এমপি তদন্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তিনি চেয়েছেন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হোক। 

    যদিও ইতোমধ্যে দলের চিফ হুইপ নুসরতের অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর বলে দাবি করেছেন। 

    বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভা দপ্তরের তদন্ত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্য কঠিন হতে পারে। করোনা বিধিনিষেধের মধ্যে পার্টিতে অংশ নেওয়া নিয়ে ইতোমধ্যে চাপে রয়েছেন তিনি।     

    যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত নুসরাত ঘানিকে ২০১৮ সালে পরিবহণ দপ্তরের জুনিয়র মন্ত্রী করা হয়েছিল। 

    এ বিষয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন পার্টির এমপি নুসরত অভিযোগ করে বলেন, দলের চিপ হুইপ জানিয়েছিলেন, তিনি মুসলিম হওয়ার জন্য সহকর্মীরা অস্বস্তি বোধ করছেন। যে কারণে তার মন্ত্রিত্ব চলে যায়। 

    তবে এটা নিয়ে নুসরতকে উচ্চবাচ্য না করতে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন দলের হুইপ। তাকে বলা হয়েছিল, মন্ত্রিত্ব হারানো নিয়ে বেশি উচ্চবাচ্য করলে দল থেকে বহিষ্কারও করা হবে। শুধু তাই নয়, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও ধ্বংসের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। দলের চিফ হুইপের এমন হুঁশিয়ারির পর এনিয়ে আর কোনো উচ্চবাচ্য করেননি তিনি।

    এদিকে সাবেক মন্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির হুইপ মার্ক স্পেন্সার মুখ খুলেছেন।  টুইটারে তিনি লেখেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি আনা হয়েছে, তা মানহানিকর বলে মনে করছি। তাছাড়া আমি কখনই সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এধরনের শব্দ প্রয়োগ করিনি।

    সূত্র: বিবিসি