মুহাম্মদ (সা.) কে অপমান করায় পাকিস্তানি নারীর মৃত্যুদণ্ড

    0
    7

    ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে একজন মুসলিম নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। মুহাম্মদ (সা.) এবং তার একজন স্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে, এমন একটি ছবি ছড়ানোর দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

    আল জাজিরা জানিয়েছে, পাকিস্তানের কঠোর ধর্ম অবমাননার আইনে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) আনিকা আতিককে রায়ালপিন্ডির একটি আদালত এই সাজা দেন। দেশটিতে মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননার সাজা মৃত্যুদণ্ড।

    নিজের রায়ে বিচারক আদনান মুস্তাক বলেন, অভিযুক্ত নারী তার স্ট্যাটাসে (হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে) যে অবমাননাকর কন্টেন্ট শেয়ার বা ইনস্টল করেছেন এবং অভিযোগকারীকে পাঠানো বার্তা এবং ব্যঙ্গচিত্র সম্পূর্ণরূপে অসহনীয় এবং একজন মুসলমানের পক্ষে সহনীয় নয়।

    এদিকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২৬ বছর বয়সী আনিকা। ২০২০ সালের মে মাসে আতিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    আদালতে দেয়া এক বিবৃতিতে আনিকা বলেছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হাসনাত ফারুক তার প্রতি ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ হতে অস্বীকার করার পর তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ধর্মীয় আলোচনায় টেনে নেন। একটি জনপ্রিয় অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমে এ দু’জনের পরিচয় হয়েছিল এবং তারা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিলেন।

    তিনি বলেন, সুতরাং আমি মনে করি প্রতিশোধের জন্য হাসনাত ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিষয়ে টেনে এনেছেন। সেজন্যই তিনি আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সময় যা কিছু হয়েছে তা সংগ্রহ করেছেন হাসনাত।

    ফারুক দাবি করেছেন যে অভিযুক্ত কথিত নিন্দামূলক উপাদানটিকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস হিসাবে ভাগ করেছে এবং সেই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে যখন তার মুখোমুখি হয়েছিল তখন এটি মুছতে অস্বীকার করেছিল।

    তবে হাসনাতের অভিযোগ হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাস হিসেবে ধর্ম অবমাননাকর ছবি দেন আনিকা। তাকে এই ছবি সরাতে বললেও আপত্তি জানান আনিকা।

    এইউ